বাকিতে মিলবে স্মার্টফোন
স্মার্টফোন সহজলভ্য করতে বাকিতে কেনার ব্যবস্থা করার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। দেশে ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্কের বিস্তার ঘটাতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি কমিশন বৈঠকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন অপারেটর ও হ্যান্ডসেট ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে প্যাকেজ ডিজাইন করতে পারবে-যাতে কোনো রকম জামানত বা ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ছাড়াই ফোরজি হ্যান্ডসেট পান গ্রাহক।
শিগগিরই এ নির্দেশনা কার্যকর করা হবে। এক্ষেত্রে ছয় মাসের মধ্যে সমান কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার সুযোগ রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে ওই ছয় মাস গ্রাহককে নির্দিষ্ট অপারেটরের সঙ্গে থাকতে হবে।
বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, বিভিন্ন দেশে এমন নিয়ম আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে যেহেতু মানুষের ক্রয়-ক্ষমতা উন্নত দেশগুলোর মতো নয়, তাই এই সুবিধা গ্রাহকদেরকে ভালো মানের হ্যান্ডসেট কেনার ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সুবিধা দেবে।
ফেব্রুয়ারিতে দেশে ফোরজি চালু হওয়ার পর বিটিআরসির হিসেবে অনুসারে জুন পর্যন্ত ৬০ লাখ গ্রাহক ফোরজি সেবা নিতে শুরু করেছেন, যা অক্টোবর পর্যন্ত এক কোটিতে চলে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে এখন মোট ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন। এর মধ্যে ফোরজি কার্যকর স্মার্টফোনের সংখ্যা আরও কম। এ ক্ষেত্রে হাজার কোটি টাকা খরচ করেও তৈরি ফোরজি নেটওয়ার্ক তেমন কাজে আসছে না। এটিকে দেশের আরও ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
এ নির্দেশনার সঙ্গে আরও কিছু শর্তও জুড়ে দিচ্ছে বিটিআরসি। বলা হচ্ছে, দেশে প্রচলিত সবগুলো স্পেকট্রাম ব্যান্ডেই হ্যান্ডসেটগুলো কার্যকর থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ৯০০, ১৮০০ বা ২১০০ ব্যান্ডে হ্যান্ডসেটগুলো ব্যবহার উপযোগী হতে হবে।
তাছাড়া হ্যান্ডসেটের ন্যূনতম র্যাম হতে হবে এক জিবি এবং স্টোরেজ ক্যাপাসিটি ন্যূনতম আট জিবি।
আরএম/এমআরএম