গরিলা গ্লাস কি? স্মার্টফোনে লাগানো হয় কেন?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৮ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

স্মার্টফোন, স্মার্ট টিভি, ল্যাপটপের স্ক্রিন সুরক্ষায় গরিলা গ্লাস ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কী? গরিলা গ্লাস আর সাধারণ কাচের সঙ্গে এর পার্থক্য কোথায়?

গরিলা গ্লাস একটি বিশেষ ধরনের কাচ যা করনিং আইএনসি (Corning Inc) কোম্পানির তৈরি। এটি বিশেষ করে স্মার্ট ডিভাইজ যেমন- ল্যাপটপ, মনিটর, স্মার্টফোন, টিভি ইত্যাদির স্ক্রিন প্রটেক্ট বা সুরক্ষিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

২০০৮ সালে ফার্স্ট জেনারেশন করনিং গরিলা গ্লাস তৈরি করা হয়। পরে ২০১২, ২০১৩, এবং ২০১৪ সালে এর মধ্যে প্রযুক্তিগত অনেক উন্নতিসাধন করা হয়। ২০১৬ সালের জুলাই মাস নাগাদ দিকে এই গরিলা গ্লাসের ফিপ্ত (৫ম) জেনারেশন বাজারে আসে।

গরিলা গ্লাস কী ভাবে কাজ করে?

করনিং যে নতুন ধরনের কাচ তৈরি করেছে, তার আসল নাম ‘অ্যালুমিনোসিলিকেট’। সাধারণ যে কোনও কাচের মতো এটিও তৈরি করা হয় মূল উপাদান বালি বা স্যান্ড থেকে। তাছাড়া এই গ্লাসে ব্যবহার করা হয় অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন এবং অক্সিজেন।

গ্লাসটির প্রয়োজনীয় মডেল তৈরি করে নেওয়ার পরে একে ৪০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রার গলিত লবণ মিশ্রণের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পর নানা রকম রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলেই গরিলা গ্লাস অন্যান্য কাচের তুলনায় আরও শক্তিশালী এবং নমনীয় হয়ে ওঠে।

সাধারণ অ্যালুমিনোসিলিকেট আপনার স্মার্টফোনের স্ক্রীন প্রটেক্টর হিসেবে সহজেই কাজে লাগাতে পারেন, কিন্তু তা কখনওই গরিলা গ্লাসের মতো শক্তিশালী, স্ক্র্যাচ প্রুফ আর নমনীয় হবে না।

করনিং এর দাবি, এই গরিলা গ্লাস রিসাইকেলেবল এবং এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক নয়। তাই ইদানীং স্মার্টফোন, স্মার্ট টিভি, ল্যাপটপ ইত্যাদির টাচ স্ক্রিনকে বিভিন্ন ছোটখাট আঘাত, দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে গরিলা গ্লাস ব্যবহারের চল অনেকটাই বেড়েছে।

এএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।