৬০০ কোটি ডলার জরিমানা হতে পারে গুগলের


প্রকাশিত: ০৭:১২ এএম, ২৮ জুলাই ২০১৫

ভারতে ৬০০ কোটি ডলার জরিমানা হতে পারে মার্কিন জায়ান্ট গুগলের। অন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে হেয় প্রতিপন্ন করে ব্যবসা সম্প্রসারণের কারণে ৬০০ কোটি ডলার জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে গুগলকে। খবর টেকট্রি।

গুগল একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে অনুসন্ধান সেবায় অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে নিজেদের পণ্যকে বেশি সুবিধা দিচ্ছে। এ ধরনের একচেটিয়া আচরণের অভিযোগে ইউরোপের দেশগুলোয় দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতার মধ্য দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার ভারতেও তারা একই সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে।

ভারতের সিসিআইয়ের তদন্ত শাখা জানায়, ভারতে একচ্ছত্র আধিপত্যের প্রভাব খাটিয়ে গুগল বেশকিছু ক্ষেত্রে ব্যবসা সম্প্রসারণের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে। ফেয়ার-ট্রেড পর্যবেক্ষণ সংস্থার অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানটিকে ইউরোপের মতোই দেশটির সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের মোকাবেলা করতে হতে পারে ।

জানা গেছে, সিসিআই গুগলের বিরুদ্ধে ব্যবসা সম্প্রসারণে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের প্রথম অভিযোগ পায় ২০১১ সালে। এর পর ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরেই বিশেষ করে অনুসন্ধান সেবায় পূর্ব আধিপত্যের প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে অনুসন্ধান সেবায় অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে নিজেদের পণ্যকে এগিয়ে রেখে বেশি সুবিধা নিয়ে আসছিল গুগল। এছাড়া জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েডচালিত ডিভাইসের মাধ্যমে অন্য প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধান সেবা সরবরাহে বাধা দিয়ে আসছিল। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনলাইন বিজ্ঞাপন খাত থেকে রাজস্ব অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক মোবাইল ডিভাইস। আর নিজস্ব অনুসন্ধান সেবা অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ডিফল্ট হিসেবে ব্যবহারে বাধ্য করে অবৈধভাবে সুবিধা নিয়েছে মার্কন প্রতিষ্ঠানটি। অনেক সময় অনুসন্ধান ফলাফলে প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের পণ্যকে এগিয়ে রাখার মাধ্যমে প্রতারণা করছে গুগল। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বাজারে পিছিয়ে পড়ছে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো।

সিসিআই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত রায় ঘোষণার আগে তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের ফলাফল গুগলের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করবে পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি।

এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।