সেলফোন তল্লাশির জন্য ওয়ারেন্ট লাগবে পুলিশের
সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির সেলফোন তল্লাশির জন্য এখন ওয়ারেন্ট লাগবে মার্কিন পুলিশের। প্রধান বিচারপতি জাস্টিন জন রবার্টস কর্তৃক লিখিত এ খসড়া বিধিটি মতামতের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছিল, যা ৯-০ ভোটে গ্রহণযোগ্যতা পায়। তবে কিছু জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে ওয়ারেন্ট ছাড়াও তল্লাশি চালানো যাবে বলে আদালতের নির্দেশপত্রে জানানো হয়। খবর ইয়াহু।
সুপ্রিম কোর্টের এ বিধির কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়া সংস্থাগুলো এ পর্যন্ত বিনা ওয়ারেন্টে তল্লাশি করেই অভ্যস্ত বলে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি জানান, নতুন এ বিধির কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া কঠিন হবে। তার পরও আদালত তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে না। এছাড়া এ বিধির কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সামর্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে আধুনিক জীবনের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হিসেবে সেলফোনের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য। আর এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়, যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে অনেক ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কারণে সেলফোন ব্যবহারকারীদের তথ্যের নিরাপত্তা ব্যাহত হচ্ছে। এ ধরনের বেশকিছু অভিযোগও রয়েছে আদালতে। এ কারণেই নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া বিনা ওয়ারেন্টে তল্লাশির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সদস্যরা আদালতে যথাযথভাবে উপস্থাপন করে না বলেও প্রমাণ রয়েছে আদালতে। সম্প্রতি ড্যাভিড রিলে এবং ব্রিমা ওউরি নামের দুই ব্যক্তির সঙ্গে এমনই ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তিদের মামলার ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাদের সেলফোন থেকে যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ, তার কোনোটাই বিচার চলাকালীন সময় উপস্থাপন করেনি পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীতে অযাচিত তল্লাশি রোধে আদালতের ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার রয়েছে। যার কারণে কাউকে গ্রেফতার বা সন্দেহজনকভাবে সেলফোন তল্লাশির আগে আদালতের অনুমোদন লাগবে।
তবে অনেক বিশ্লেষকই এ ধরনের রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাদের মতে, নতুন এ নির্দেশনার কারণে এখন থেকে গ্রাহকরা নিরাপদ থাকবেন। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও যে কোনো সময়ে যে কাউকে বিরক্ত করতে পারবে না। কিন্তু এদিকে এ নির্দেশনার কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতাও যে খর্ব হবে তা বলাই বাহুল্য। তবে যে কোনো আইনের সফলতা এর প্রয়োগের ওপরই নির্ভর করে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।