ভুল স্বীকার করলেন জুকারবার্গ

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৯ এএম, ২২ মার্চ ২০১৮

সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারীদের না জানিয়েই লাখ লাখ গ্রাহকের তথ্য নিজেদের বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহার করেছিল রাজনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ এনালিটিকা। তারা ৫০ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে—এমন তথ্য ফাঁস হলে আলোড়ন শুরু হয়। খবর বিবিসির।

এরই প্রেক্ষিতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ স্বীকার করেছেন তারা ‘ভুল করেছেন’। ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফেসবুক প্রধান।

কিন্তু গ্রাহকের অজ্ঞাতে বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাদের তথ্য ব্যাবহার করার এই খবর রটে গেলে, ফেসবুক প্রধান মার্ক জুকারবার্গকে ব্রিটিশ সংসদে তলব করা হয়।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ এ বিষয়ে তাদের ভুল হয়েছিল বলে স্বীকার করেছেন এবং গ্রাহকদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে চলে যাওয়ার এই ঘটনাটিকে ‘গ্রাহকদের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ’ করার সামিল বলে ফেসবুকে দেয়া বিৃবতিতে মন্তব্য করেছেন ।

বিভিন্ন অ্যাপ ভবিষ্যতে যাতে ফেসবুককে ব্যবহার করে গ্রাহকদের তথ্য সহজে হাতিয়ে নিতে না পারে সেজন্য সামনের দিনগুলোতে ফেসবুকে আরও বেশ কিছু পরিবর্তন আনার অঙ্গীকারও করেছেন তিনি।

ফেসবুকের সিইও জুকারবার্গ গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনার তথ্যের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু সেটি দিতে ব্যর্থ হলে আমাদের সেবা দেয়ার কোনো অধিকার থাকবে না।

জুকারবার্গ আরও বলেন, আমি ফেসবুক শুরু করেছি এবং দিনশেষে এই প্ল্যাটফর্মে যা-ই ঘটুক না কেন দায়-দায়িত্বও আমার।

ক্যামব্রিজ এনালিটিকা ট্রাম্পের পক্ষে ডিজিটাল প্রচারণা চালানোর সুবিধার জন্য গ্রাহকদের তথ্য ফেসবুক থেকে কৌশলে হাতিয়ে নেয়, এই অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই তুমুল আলোড়ন শুরু হয় এবং গত মঙ্গলবার ক্যামব্রিজ এনালিটিকার প্রধান নির্বাহীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

এসএইচএস/আরআইপি

তথ্যের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। ব্যর্থ হলে সেবা দেয়ার কোনো অধিকার থাকবে না। আমি ফেসবুক শুরু করেছি এবং দিনশেষে এই প্ল্যাটফর্মে যা-ই ঘটুক না কেন দায়-দায়িত্বও আমার।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।