৯৯৯ কখন ডায়াল করবেন

আদনান রহমান
আদনান রহমান আদনান রহমান , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০০ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০১৭

রাস্তায় হঠাৎ ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছেন, থানার কোনো নম্বর নেই। কি করবেন? রাতে জানালা দিয়ে পাশের ভবনের ছাদে অনেক ধোঁয়া দেখতে পাচ্ছেন। সবাই ঘুমাচ্ছে কিন্তু কাউকে ডাকতে পারছেন না। অথবা রাতে হঠাৎ করেই সন্তানের শরীর খারাপ করলো হাসপাতালে নেয়া প্রয়োজন। অথচ নিজের গাড়ি নেই। কি করবেন, কাকে খবর দেবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না। এসব অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’।

এখন থেকে ‘৯৯৯’ এই তিনটি ডিজিট ডায়াল করলে যেকোনো বিপথে সাহায্যের হাত বাড়াবে সরকার। ফোন করলেই সাহায্য পাবেন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কিংবা অ্যাম্বুলেন্সের।

মঙ্গলবার সকালে এই সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

সার্ভিসটি সম্পর্কে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের সহকারী মহা-পরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) সহেলী ফেরদৌস জানান, দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যে কেউ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৯৯৯ নম্বরে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে (টোল ফ্রি) কল করে জরুরি পুলিশি সেবা, ফায়ার সার্ভিস বা অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে পারবেন। ‘৯৯৯’ নম্বরে আগে জরুরি প্রয়োজনে শুধু পুলিশি সেবা পাওয়া যেত। এখন এই সেবাটি সম্প্রসারণ করে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্সে যুক্ত করা হয়েছে। সার্ভিসটি বিশ্বমানের করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলায় ৯৯৯-এর ব্যবহার, প্রচার ও কমিউনিটি সেফটি অ্যাওয়ারনেস কর্মশালা সম্পন্ন করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য সর্বস্তরের জনগণের জন্য টেলিফোন ও মোবাইল ফোনভিত্তিক অভিন্ন হেল্প ডেস্ক চালু করা। কারণ আগে ব্যবহৃত ৯৯৯ নম্বরে শুধুমাত্র টিঅ্যান্ডটি ল্যান্ডফোন নম্বর দিয়ে ফোন করা যেত। এর ফলে রাস্তাঘাটে বিভিন্ন স্থানে অপরাধ বা দুর্ঘটনা সংঘটিত হলে মানুষ পুলিশকে তৎক্ষাণিকভাবে জানাতে পারত না। বর্তমানে মোবাইল ফোনে তথ্যের আদান-প্রদান সুবিধাজনক হওয়ায় সংঘটিত অপরাধ বা দুর্ঘটনা দেখা মাত্রই যে কেউ ঘটনাস্থল থেকে ৯৯৯ নম্বরে জানাতে পারবেন।

২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ প্রথম ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস-৯৯৯ এর কাঠামো তৈরির কাজ শুরু করে। ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে জনগণকে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এই সার্ভিসটির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের ইমার্জেন্সি সেবা চালু রয়েছে। এই দুই দেশে ‘৯১১’ ডায়াল করলেই কন্ট্রোল রুম থেকে যেকোনো সাহায্যের জন্য বাড়িতে হাজির হয় সরকারের সেবাদাতারা। যুক্তরাজ্যে ‘৯৯৯’ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে ‘১১২’ ডায়াল করলে পাওয়া যায় এই ইমার্জেন্সি সেবা।

এআর/এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।