প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যা কথা হলো রোবট সোফিয়ার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৭ এএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৭

ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নারী রোবট সোফিয়ার সঙ্গে প্রায় ২ মিনিট কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তারা পরস্পরের খোঁজখবর নেন। প্রধানমন্ত্রী সোফিয়াকে কয়েকটি প্রশ্ন করলে তার উত্তর দেয় সে।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করেন কেমন আছো? উত্তরে সোফিয়া ইংরেজিতে উত্তর দেয়, ‘ভালো, আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমি আনন্দিত’।

প্রধানমন্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করেন তুমি আমাকে কীভাবে চেনো?

ইংরেজিতে সোফিয়া উত্তর দেয়, আমি জানি আপনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা, আপনি মাদার অব হিউম্যানিটি। এ ছাড়াও আপনার নাতনির নাম আমার নামে ‘সোফিয়া’।
তখন প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশে বলেন, ‘জয়ের মেয়ের নামও সোফিয়া।’

এরপর প্রধানমন্ত্রী তাকে জিজ্ঞাসা করেন ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে তুমি কি জানো?

উত্তরে সোফিয়া ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন তুলে ধরে। ই-গভর্নেন্সসহ সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলে। বঙ্গবন্ধু হাই টেক সিটি সম্পর্কে অবগত থাকার বিষয়টিও সোফিয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানায়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

আজ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সোফিয়াকে নিয়ে দুটি সেশন করা হবে। প্রথম সেশনে দেশের পলিসি মেকার এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। দ্বিতীয় সেশনে থাকবে তরুণ গেম ডেভলপার, সফটওয়্যার ডেভলপার, অ্যাপ ডেভলপার ও উদ্ভাবকদের সঙ্গে আলোচনা।

এ ছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে ড. ডেভিড হ্যানসন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। সোফিয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নারী রোবট। সে নানা বিষয়ে অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশাল তথ্যভাণ্ডারে যুক্ত থাকে সে। এ ছাড়া মানুষের সঙ্গী ও সহযোগী হিসেবেও কাজ করতে পারে সোফিয়া।

স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও সক্ষমতা তুলে ধরতেই এ আয়োজন করেছে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এ ছাড়া সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প।

এ ছাড়াও পার্টনার হিসেবে রয়েছে- বাক্য, বিসিএস, ই-ক্যাব, বিআইজেএফ, বিবিআইটি, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং সিটিও ফোরাম।

আজ থেকে শুরু হওয়া এ প্রদর্শনী চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এ প্রদর্শনী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে অনেক কাজ করেছে। তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তরুণেরা বাংলাদেশকে একদিন অনেক দূর এগিয়ে নেবে।

এআর/এমএমজেড/আইআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।