প্রাণের আয়োজনে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি মেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

‘সায়েন্স অব টুডে টেকনোলজি অব টুমরো’ এ স্লোগানে চারদিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার আসর বসে রাজধানীর মতিঝিল গভর্মেন্ট বয়েজ হাইস্কুলে। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধা বিকাশে আয়োজিত এ মেলা রোববার পুরস্কার বিতরণীতে শেষ হয়।

শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় রাজধানীর ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশ নেন। ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সৃজনশীল ভাবনার তৈরি ডিভাইস, সম্ভাবনাময় নানা উদ্ভোবনী প্রজেক্ট, ফটোগ্রাফি, বিজ্ঞানের বিভিন্নস্তরের অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতা, দেয়াল পত্রিকা, কুইজসহ মেধা যাচাইয়ে নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন।

pran

শুধু বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী নয় তথ্য-প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় হিসাব বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পায়। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

পুরস্কার প্রদানকালে মেনন বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব আজ আধুনিক থেকে আধুনিকতর হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে মানুষের জীবন ব্যবস্থা সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানে বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরাও পিছিয়ে নেই। তারা অনেক এগিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, চাঁদের দেশে চাঁদ থাকে আগে মানুষ তাই ভাবত। বিজ্ঞানের আবিস্কারের সেখানে আজ বসবাসের জন্য জমি বিক্রি হচ্ছে। এটি বিজ্ঞানের ফলে সম্ভব হয়েছে। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক মেধা সৃষ্টির আহ্বান জানান মন্ত্রী।

pran

এর আগে মতিঝিল গভর্মেন্ট বয়েজ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ হাফিজুল ইসলাম খান জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃজনশীল মেধা তৈরিতে আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করে থাকি। প্রতিবছর আমাদের স্কুলের ছাত্ররা জাতীয়ভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে এনেছে। তার প্রস্তুতি হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শুধু পুস্তকগত মেধা নয়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজস্ব ভাবনা তৈরি করা প্রয়োজন। তাদের অলস সময়গুলো কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। এতে করে খারাপ ভাবনা থেকে দূরে থাকবে এবং নতুন মেধার বিকাশ ঘটবে।

এমএইচএম/একে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।