আইফোন ভালো নাকি অ্যান্ড্রয়েড

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৬ এএম, ২৪ অক্টোবর ২০১৭

আইফোন ভালো, নাকি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ভালো? নতুন ফোন কিনতে গেলেই এ বিতর্ক চলে আসে। স্মার্টফোন কেনার জন্য কারও কাছে পরামর্শ চাইলে অভিজ্ঞতা থেকে তিনি তার পছন্দের স্মার্টফোনটিই কেনার পরামর্শ দেন। কিন্তু তারপরও স্মার্টফোন কিনতে গেলে অনেকেই অসন্তুষ্টিতে ভোগেন। অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনবেন নাকি আইফোন কিনবেন। সম্প্রতি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এ দুটি স্মার্টফোনের কিছু ফিচারের কথা জানিয়েছেন যা আপনার পছন্দের পণ্যটি কিনতে সহায়ক হতে পারে।

প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে ব্যক্তির রুচির উপর অনেকটাই নির্ভর করে। ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেমের কারণে অনেকেই অ্যান্ড্রয়েড ফোন কিনতে বেশি আগ্রহ দেখান। অ্যান্ড্রয়েডে ইচ্ছেমতো সবকিছু ইনস্টল করা যায়, এ সুবিধা ফোনটি কিনতে প্রভাবিত করেন অনেককে। তবে অ্যান্ড্রয়েডকে বেশি মাত্রার ভাইরাস ঝুঁকির কারণ হিসেবে দেখে অনেকেই আবার আইফোন পছন্দ করেন। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই এ দুটি অপারেটিং সিস্টেমের তুলনা করতে নারাজ।

আইফোনের মূল আকর্ষণ হল এপিআই আপডেট। এখন থেকে এসআইআরআই-এর সাহায্যে অ্যাপল ডিভাইসের সব অ্যাপের ভয়েস ইনপুটকে এসআইআরআই ইনপুটে রূপান্তরিত করে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ অ্যান্ড্রয়েড নট ৭.১ হচ্ছে বাজারের অ্যান্ড্রয়েডের অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে সেরা।

আইওএস এর এসআইআরআই-এর আপডেটের মতো অ্যান্ড্রয়েড ৭-এ রয়েছে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট। যা আপনার মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করার অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে। তা ছাড়া নোটিফিকেশন শেড, কুইক সেটিংস এবং মেইন সেটিংসগুলোকে আরও সহজবোধ্য করে দেয়া হয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের এই ফোনে।

অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস-এর সাধারণ মিলগুলো-সফটওয়্যার এক্সপেরিয়েন্সের দিক থেকে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএসে প্রায় একই রকম রয়েছে। দু’টিতেই ব্যবহারকারীদের লক স্ক্রিনে সোয়াইপ বা অথেনটিকেশন করে সিস্টেমে ঢুকতে হয়।

হোম স্ক্রিন হচ্ছে ফোনের ডিভাইসের মূল কার্যস্থল। অ্যান্ড্রয়েডে আলাদা করে একটি ড্রয়ার রয়েছে। তবে আইওএস-এ এই অ্যাপ ড্রয়ার ফিচারটি নেই, সেখানে সব অ্যাপসকে হোম স্ক্রিনে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। হোম স্ক্রিনের মতোই অ্যান্ড্রয়েডে থার্ড পার্টি লক স্ক্রিন ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি লক স্ক্রিনে বৈচিত্র আনতে পারবেন। কিন্তু অন্য দিকে আইওএস ডিভাইসগুলোতে লক স্ক্রিন কাস্টমাইজেশনের সুযোগ নেই।

নোটিফিকেশনের ক্ষেত্রে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্রাইটনেস, ভলিউম, ওয়াই ফাই, ব্লু-টুথ, ফ্ল্যাশ লাইট চালু-বন্ধ করা সহ বিভিন্ন সুবিধা দেয়। অন্যদিকে, আইওএসয়ের হোম স্ক্রিন সোয়াইপ ডাউন করলে শুধুমাত্র নোটিফিকেশন দেখাবে। আর নীচ থেকে সোয়াইপ আপ করলে কুইক সেটিংস পপআপ করবে।

আইওএস কুইক সেটিংয়ে ডেডিকেটেড মিউজিক প্লেব্যাক অপশন দেয়া রয়েছে। তবে আইওএসে এটাও কাস্টমাইজেশনের সুবিধা দেয়া হয়নি। এ ছাড়াও আরেকটি ফিচার হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েডে সাইড লোড অ্যাপস ব্যবহার করা যায়। যে কেউ অ্যান্ড্রয়েডে তাদের নিজস্ব অ্যাপস বানাতে পারবে এবং তা ইন্সটল করতে পারবে। কিন্তু আইওএস ডিভাইসে জেইলব্রেকিং ছাড়া আপনার নিজস্ব অ্যাপস ইনস্টল করার জন্য একটি পেইড ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট দরকার হবে।

তবে ব্যক্তির কাজের ধরন ও প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে স্মার্টফোন কেনা উচিত বলেই পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।

এআরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।