‘ব্লু হোয়েল’ নিয়ন্ত্রণে বিটিআরসিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান
‘ব্লু হোয়েল’ বা জীবন বিনাশী গেম নিয়ন্ত্রণে বিটিআরসিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে ব্লু হোয়েল সম্পর্কে ১০ দিন আগেও যেখানে ব্যবহারকারীর ৯৯ শতাংশই জানত না সেখানে বিষয়টি নিয়ে যেভাবে হইচই শুরু হয়েছে, তাতে অনেক ব্যবহারকারীই এ সম্পর্কে খোঁজ নেয়া শুরু করেছে। এতে আবার না উল্টো বিপত্তি বাধে। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।
ব্লু হোয়েল গেমের কারণে এক তরুণীর আত্মহত্যা করায় সম্প্রতি তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বিটিআরসিকে বিষয়টি তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছেন। বিটিআরসি বিষয়টি আমলে নিয়ে জনসাধারণের উদ্দেশ্যে ২৮৭২ নাম্বারে ফোন করে তথ্য দেয়ার অনুরোধ জানান।
মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, এ ধরনের তথ্য জনগণের কাছে থেকে চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিটিআরসি। এটি তাদের অদ্যক্ষতা ও অযোগ্যতার শামিল বলে মনে করি। তাদের কাছে গ্রাহকদের নিরাপত্তা, সেবা ও জনসচেতনতা তৈরি করার আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। বিটিআরসি দিনে দিনে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান থেকে সরে গিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হচ্ছে। আমরা গত ২০১৫ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম আসক্ত হলে আমরা বিটিআরসিকে চিঠি দিয়ে ও সেমিনারে আমন্ত্রণ জানাই। এছাড়াও সংগঠনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা তৈরির জন্য নাগরিকদের মাঝে লিফলেটও বিলি করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বিটিআরসি থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি।
তিনি বলেন, গত বছর মুঠোফোনের অপব্যবহারের ফলে রেল দুর্ঘটনায় প্রায় ৮০০ লোক মারা যায়। এছাড়া মুঠোফোন বিস্ফোরণ ঘটে সাভারের জাফর আলীসহ কয়েকজন নিহত হন। এ বিষয়েও বিটিআরসিকে অবগত করে কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। দিনকে দিন মুঠোফোনে ও ইন্টারনেটের অপব্যবহার এতটাই বৃদ্ধি পাচ্ছে যে আগামী ২০ বছর পর দেশ মেধাশূন্য হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
আমরা মনে করি বিটিআরসির কাছে এসওএফ ফান্ডের ১২০৪ কোটি টাকা জনসচেতনতা, প্রশিক্ষণ ও নিম্নবিত্তদের জন্য ফোর-জি সম্বলিত হ্যান্ডসেট সুলভ মূল্যে প্রদান করা হোক।
এএস/এএইচ/জেআইএম