পুরনো লেখা সরিয়ে নিচ্ছে গুগল


প্রকাশিত: ০৭:২৮ এএম, ০৫ জুলাই ২০১৪

যুক্তরাজ্যের কয়েকটি বড় সংবাদ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান গুগলের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে হতাশা ব্যক্ত করেছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ‘রাইট টু বি ফরগটেন’-এর দোহাই দিয়ে এ সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট সার্চ রেজাল্ট থেকে কয়েকটি আর্টিকেল সরিয়ে দিয়েছে।

বিবিসি অভিযোগ করেছে মেরিল লিঞ্চ ব্যাংকের সিইও সম্পর্কিত ২০০৭ সালের একটি প্রবন্ধ এখন আর গুগল সার্চে দেখা যাচ্ছে না। গার্ডিয়ান জানিয়েছে তাদের ছয়টি লেখা সার্চ রেজাল্ট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মেইল অনলাইনের প্রকাশক মার্টিন ক্লার্ক চারটি লেখা সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে এপিকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটা তো লাইব্রেরিতে যাওয়া আর অপছন্দের বই পুড়িয়ে দেওয়াকে একই করে তোলে।

এর আগে মে মাসে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস (ইসিজে) বিতর্কিত ‘রাইট টু বি ফরগটেন’ নামে একটি আদেশ জারি করে। এর ফলে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিন জন চাহিদার ওপর ভিত্তি করে পুরনো ও অপ্রাসঙ্গিক তথ্যগুলো সার্চ রেজাল্ট থেকে সরিয়ে নিতে পারবে। এর পরপরই গুগল সার্চ রেজাল্ট থেকে বিভিন্ন লেখা সরিয়ে নিতে শুরু করে। কিন্তু দেখা গেছে গুগল চাহিদা সম্পন্ন লেখাগুলোই সরিয়ে নিয়েছে। বিশেষ করে সরিয়ে নেওয়া লেখাগুলো বিভিন্ন বিতর্কের সঙ্গে যুক্ত। এ নিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও প্রাইভেসির অধিকার বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

‘রাইট টু বি ফরগটেন’ আদেশটির পেছনে রয়েছে স্পেনের এক ব্যক্তির অভিযোগ। তিনি ১৯৯৮ সালের একটি লেখা সার্চ রেজাল্ট থেকে সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। মে মাসে আদেশটি জারি হওয়ার পর গুগলের নির্বাহীরা এর সমালোচনা করে।

তবে গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বিষয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। প্রতিষ্ঠানটি অন্যদের মতামত শুনতে আগ্রহী। বর্তমানে সার্চ রেজাল্ট থেকে সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।