নীল তিমির ছোবল : খেলতে না চাইলেই খুনের হুমকি

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৮ এএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ভারতের ‘নীল তিমি’র হানার খবর প্রথম পাওয়া যায় মাস দুয়েকের মধ্যে। এরপর থেকে নিয়মিতই আসছে অনলাইন সুইসাইড গেম ‘ব্লু হোয়েল’ বা এই ‘নীল তিমি’ খেলতে গিয়ে প্রাণ হারানোর খবর।

ভারতে নীল তিমির প্রথম শিকারের নাম ১৪ বছরের কিশোর মনপ্রীত সিং। নিজেই বাড়ির ছয় তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল সে।

আর ভয়াবহ এই গেম খেলেছেন সর্বশেষ এমন যার খোঁজ পাওয়া গেল তিনি হলেন ভারতের গুসকরা কলেজের দর্শনের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ১৩টি লেভেল খেলার পর ওই খেলা ছেড়ে দিতে চান তিনি। তবে নিস্তান পাননি। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেম খেলতে ছাড়ার পর থেকে ক্রমাগত তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে।

কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে ওই যুবকের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। কলেজ কর্তৃপক্ষ এও জানিয়েছে, শিগগিরই কাউন্সিলিং শুরু হবে ওই ছাত্রের।

ওই ছাত্রের বাবা পেশায় খেতমজুর, মা অসুস্থ। সংসার চলে টেনেটুনে। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এমন খেলায় কিভাবে জড়িয়ে পড়লেন তিনি?

ওই ছাত্র জানিয়েছেন, মাস দেড়েক আগে তার মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। তাতে জানানো হয়, সে বড় অঙ্কের টাকার একটি পুরস্কার জিতেছে। অ্যাকাউন্ট নম্বর, নাম, ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়। লিঙ্কে পাঠানো খেলা খেললে ওই টাকা মিলবে বলেও জানানো হয়। সব তথ্য জানিয়ে খেলা শুরু করে ওই ছাত্র।

তাঁর দাবি, শর্ত দেয়া হয়, রাতে একা থেকে খেলতে হবে। এরপর থেকে যে দিন খেলা হবে সে দিন মেসেজে লিঙ্ক আসত। দেওয়ালে মাছের ছবি আঁকা, দেড় মিনিট চলন্ত গাড়ির সামনে ছোটার ছবি পাঠানোর মতো নানা চ্যালেঞ্জ দেয়া হয়। সেগুলো করেও ফেলেন ওই ছাত্র। কিন্তু চ্যালেঞ্জ কঠিন হতে থাকে।

একসময় তিনি বুঝতে পারেন, তিনি যে ফাঁদে পড়েছেন সেখান থেকে বের হওয়া মুশকিল। কিছুদিন পরে খেলা ছাড়তে চাইলে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে বলা হয়।

পরে কলেজের শিক্ষিকাদের বিষয়টি জানিয়ে দেন তিনি।

টাকার লোভ দেখিয়ে তাকে ওই খেলায় জড়ানো হয় বলেও দাবি করেছেন ওই শিক্ষার্থী।

এনএফ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।