না বলা কথা বলছে সারাহাহ

আব্দুর রাজ্জাক সরকার আব্দুর রাজ্জাক সরকার
প্রকাশিত: ০৬:৪৮ এএম, ০৮ আগস্ট ২০১৭

‘আমি তোমাকে ভালোবাসি ভাইয়া। কিন্তু মুখ ফুটে কখনো বলতে পারিনি।’ বার্তাটি হিমেলকে পাঠিয়েছেন একজন কিন্তু তার পরিচয় জানেন না হিমেল। পরিচয় গোপন করে অনুভূতি প্রকাশ, বক্তব্য কিংবা প্রশ্ন করার এই অ্যাপটির নামই ‘সারাহাহ’। হিমেলের মতো অনেকেই এখন সারাহাহ অ্যাপ ব্যবহার করছেন। হালের জনপ্রিয় মোবাইল অ্যাপ এই সারাহাহ নিয়ে চলছে রীতিমত মাতামাতি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অ্যাপ উন্মাদনা ছড়িয়ে দেয়, হয়ে উঠে ভাইরাল। ফেসঅ্যাপ ও প্রিজমা'র পর এবার উন্মাদনা ছড়াচ্ছে সারাহাহ অ্যাপ।

সারাহাহ অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। গত ৫ জুন থেকে অ্যাপ স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে অ্যাপটি। দেড় মাসের মাথায় ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রামকে পেছনে ফেলে দেয় সারাহাহ।

সারাহাহ আরবি শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে সততা। নিজের পরিচয় গোপন রেখে সারাহাহ অ্যাপটিতে অ্যাকাউন্ট আছে এমন ব্যক্তিকে বার্তা পাঠানো যায়।

প্রথমদিকে কর্মক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া জানানোর ওয়েবটুল হিসেবে সারাহাহ’র ব্যবহার শুরু হয়েছিল। কিন্তু তরুণদের কাছে ইতোমধ্যে অ্যাপটি দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জুলাই মাসে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে তালিকার শীর্ষে ছিল অ্যাপটি।

অ্যাপটি তৈরি করেছেন ২৯ বছর বয়সী সৌদি আরবের ডেভেলপার জায়ান আবিদিন তৌফিক। তৌফিক বলেন, যারা চাকরি হারানোর ভয়ে প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনাসামনি কিছু বলতে পারেন না, তাদের কিছু বলার সুযোগ করে দিতে অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে অ্যাপটি শুধু কর্মীদের মধ্যেই নয়, ব্যক্তিগত পর্যায়েও ব্যবহার শুরু হয়ে যায়।

তৌফিক আরো বলেন, তিনি আশাবাদী ছিলেন। ভেবেছিলেন এক হাজার মেসেজ পেলেই তিনি খুশি হবেন। কিন্তু তা এখন ৩০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

সারাহাহ অ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিও মজুবত। পলিসিতে লেখা, তারা ইউজারের প্রাইভেসি দেবে এবং তথ্য বিক্রয় করবে না যদি না কোনো লিগ্যাল অথরিটি সেই তথ্য চায়।

পরিচয় গোপন করা যায় বলে অনেকে সারাহাহ ব্যবহার করে যা খুশি তাই লিখতে পারেন। কিন্তু এটি ইতিবাচক না নেতিবাচক হিসেবে ব্যবহার করবেন সেটি একান্ত ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করে।

এআরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।