আমাদের শিক্ষার্থীদের মেধা বিশ্বমানের : পলক


প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ২৯ মে ২০১৫

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মেধা বিশ্বমানের। আর বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রমাণও দিচ্ছে এসব মেধাবীরা। প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্ব আসরে আমাদের শিক্ষার্থীরাও যাতে নিয়মিত ভালো করতে পারে সে জন্য আলাদা নজর দেয়া হবে।

শুক্রবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় হাই স্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা’র চূড়ান্ত পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

‘জানুক সবাই, দেখাও তুমি’ স্লোগানে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিংয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিযোগিতা। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে চলতি মাসে সারাদেশে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

বুয়েটের ইসিই ভবনে প্রতিযোগিতায় সাতটি বিভাগ এবং ঢাকা মহানগরসহ মোট আটটি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা অংশ নেয়। চূড়ার্ন্ত পর্বের এ আয়োজনে সর্বমোট ৯৯৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে আইসিটি কুইজে (জুনিয়র, সেকেন্ডারি ও হায়ার সেকেন্ডারি ক্যাটাগরির) ৮০৩ জন এবং প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় (জুনিয়র ও সিনিয়র ক্যাটাগরির) ১৭০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।

বিকেলে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী পর্বে কুইজ প্রতিযোগিতায় মোট ৫৯ জনকে পুরস্কার দেয়া হয় এবং প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় জুনিয়র ও সিনিয়র ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে ১৬ ও ২০ জন করে মোট ৩৬ জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায়  জুনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে খুলনার মওদুদ হাসান এবং সিনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে চট্টগ্রামের আসিফ জাওয়াদ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বুয়েটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় আমাদের শিক্ষার্থীরা খুবই ভালো ফলাফল করেছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে হাইস্কুল পর্যায়েও আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো করবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চলতি বছর থেকে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতা প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী ছেলে মেয়েদের বিশ্বমানের প্রোগ্রামার হতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশিদ, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবির, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, আরটিভির প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আশিক রহমান, ধানসিড়ি কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শমী কায়সারসহ অনেকে।

অনুষ্ঠান শেষে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্য থেকে সেরা ৪৬ জন এবং কুইজ প্রতিযোগিতা থেকে সাতজনসহ মোট ৫৩ জনকে ক্যাম্পের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এই ৫৩ জনকে নিয়ে ঢাকায় ১-৪ জুন একটি প্রোগ্রামিং ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সকালে প্রতিযোগিতার উদ্ধোধন করেন আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার।

উল্লেখ্য, ৮ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে ‘ঢাকা মহানগর আঞ্চলিক পর্ব’ দিয়ে শুভ সূচনা হয়েছে এ বছরের আয়োজনের। ইতোমধ্যে মোট আটটি অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রতিযোগিতা। অঞ্চল গুলো হচ্ছে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ঢাকা মহানগর ও ঢাকা বিভাগ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে এ প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড ও আনোয়ার ইস্পাত। সহযোগিতায় বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) ও ধাঁনসিড়ি কমিউনিকেশন এবং একাডেমিক সহযোগিতায় কোড মার্শাল ও দ্বিমিক কম্পিউটিং স্কুল, টিভি পার্টনার হিসেবে ছিল আরটিভি।

প্রতিযোগিতার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে www.nhspc.org ও  www.facebook.com/nhspcbd এই ঠিকানায়।

এআরএস/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।