সাইবার হামলার শিকার বাংলাদেশের ৩০ কম্পিউটার
বিশ্বজুড়ে সংঘটিত র্যানসমওয়্যার সাইবার হামলায় আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশও। দেশের অন্তত ৩০টি ব্যবসায়ীক কম্পিউটার সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। বাংলাদেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস ফাউন্ডেশনের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট তানভীর জোহা জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার একযোগে ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি কম্পিউটার সিস্টেম সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। হ্যাকারদের ছড়ানো স্প্যাম লিঙ্ক ওপেনের সঙ্গে সঙ্গেই কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ হারায় ব্যবহারকারীরা। স্প্যামের মাধ্যমে হ্যাকাররা চাকরির প্রস্তাব, চালান, নিরাপত্তা সতর্কতা ও অন্যান্য ফাইলের নিরাপত্তার প্রস্তাব দেয়।
র্যানসমওয়্যার এমন এক ধরনের ম্যালওয়ার বা ভাইরাস যা কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেয় এবং ব্যবহারকারীকে প্রবেশে বাধা দেয়। অনেক সময় হার্ড ডিস্কের অংশ বা ফাইল পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে ফেলে। পরে ওই কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ ফেরত দেয়ার জন্য মুক্তিপণ বা অর্থ দাবি করা হয়।
বাংলাদেশে যেসব ব্যবসায়ীর কম্পিউটার সাইবার হামলার শিকার হয়েছে; তাদের অনেকেই মেইল করে সহায়তা চেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ক্রাইম রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা তানভির জোহা।
রোববার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর ল’ এনফোর্সমেন্ট কো-অপারেশনের (ইউরোপোল) প্রধান রব ওয়েনরাইট বলেন, শুক্রবারের সাইবার হামলায় দুই লাখেরও বেশি কম্পিউটার আক্রান্ত হয়েছে। নজিরবিহীন এ হামলা বিশ্বের ১৫০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
ব্রিটেনের আইটিভিকে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে এই সাইবার হামলা ছড়িয়ে পড়ার হুমকি রয়েছে। সোমবার এ হামলা আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ইউরোপোল প্রধান বলেন, হ্যাকারদের ছড়ানো ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশের পর ফাইলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে; পরে অনলাইনে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। ভয়াবহ এই সাইবার হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাশিয়া এবং যুক্তরাজ্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আরও একটি হামলা আসন্ন। একই সঙ্গে মানুষকে তাদের কম্পিউটারের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সতর্ক করে দিয়েছেন তারা। ওয়েনরাইট বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। সোমবার লোকজন অফিসে কাজে যোগ দেয়ায় এ সংখ্যা বাড়তে পারে।
এআর/টিটিএন/এসআইএস/আরআইপি