প্রতারণা বন্ধে ইউটিউবের নতুন নীতিমালা


প্রকাশিত: ০৩:৫৯ এএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৭

গুগলের ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবের মাধ্যমে নিজস্ব চ্যানেলে বিভিন্ন কনটেন্ট চালিয়ে অর্থ উপার্জন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কিন্তু নামে-বেনামে অন্যদের ভিডিও আপলোড করে অর্থ আয় করছে অনেকে।

ফলে এ ধরনের হয়রানি ও প্রতারণা বন্ধে নতুন নীতিমালা তৈরি করেছে ইউটিউব।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, নিজের চ্যানেল থেকে অর্থ আয় করতে কমপক্ষে ১০ হাজার ভিউ পেতে হবে। ১০ হাজার ভিউ হওয়ার পর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ যাচাই করে দেখবে কনটেন্টটি। যদি কনটেন্ট ইউটিউবের নীতিমালা অনুযায়ী হয়, তবেই তাতে বিজ্ঞাপন দেয়া হবে।

তবে ১০ হাজার ভিউ পাওয়ার আগেই কোনো চ্যানেল অর্থ উপার্জন করে থাকলে নতুন নীতিমালার কারণে তাতে কোনো প্রভাব পড়বে না। শুধু নতুন করে কেউ ইউটিউব গ্রাহক হতে চাইলে তাকে নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

এদিকে, নতুন নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে ভিডিও নির্মাতা ও বিজ্ঞাপনদাতা উভয়ের স্বার্থ রক্ষা হবে।

২০০৭ সালে চালু হয় ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম। তখন থেকেই অনেক ভিডিও নির্মাতা বিজ্ঞাপনের বদৌলতে নিজেদের কনটেন্ট ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে শুরু করেন। সম্প্রতি ইউটিউব চ্যানেল খুলে অনেকেই বিপুল অংকের অর্থ উপার্জন করতে সমর্থ হন।

তবে ধর্ষণকাণ্ডে সমর্থন, ইহুদীবিদ্বেষ ও ঘৃণা প্রচারকাজে তহবিল জোগাতে কিছু বিজ্ঞাপন ব্যবহৃত হচ্ছে- সম্প্রতি এমন অভিযোগ ওঠে ইউটিউবের বিরুদ্ধে। ফলে গুগল সার্চ থেকে আড়াই শতাধিক প্রতিষ্ঠান তাদের বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেয়।

অন্যদিকে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহরে ইউটিউব টিভি চালু হয়েছে। এ টিভি বিনামূল্যে ৩০ দিন পর্যন্ত দেখা যাবে। তবে পরবর্তী সময়ে দেখতে চাইলে মাসিক ৩৫ ডলার ফি গুণতে হবে।

এসআর/এমএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।