নিজের মানসিকতার পরিবর্তনই সবচেয়ে বড় শুদ্ধাচার : পলক


প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, একটি-দুটি মানসিক পরিবর্তন বড় ধরনের জাতীয় পরিবর্তন সৃষ্টি করে। প্রধানমন্ত্রীর কিছু কিছু যুগান্তকারী ও বাস্তবমুখী সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি অফিসগুলো এখন জনবান্ধব অফিসে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন সরকারি কর্মকর্তারা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার পরও আউট অব বক্স চিন্তা করছে। তাদের মানসিকতা পরিবর্তিত হয়েছে। তাই, নিজের মানসিকতার পরিবর্তনই সবচেয়ে বড় শুদ্ধাচার।

বুধবার আইসিটি টাওয়ারস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে “জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন” সংক্রান্ত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

পলক বলেন,  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আজ সর্বক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করছি বলেই দেশে আজ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় দুর্নীতি, হয়রানি কমেছে। কারণ, ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল অনুষঙ্গই হচ্ছে ই-গভর্নেন্স।

তিনি বলেন, ই-গভর্নেন্স প্রতিষ্ঠায় জোর দেয়ার ফলে আজ আমরা উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত ই-ফাইলিং কর্মকাণ্ড নিয়ে যেতে পেরেছি এবং প্রশাসনের সবস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নে কাজ করছে। ফলে, সরকারি সেবা প্রাপ্তিতে জনগণের সময় ও অর্থ অপচয় রোধ হচ্ছে এবং হয়রানি কমেছে। বেড়েছে সেবার মান।

সরকারি কর্মকর্তারাই ডিজিটাল বাংলাদেশ স্লোগানকে ধারণ করেছে বলে আজ ৩৫ শতাংশ সেবা আমরা অনলাইনে নিয়ে আসতে পেরেছি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা যে ২০২১ সালের মধ্যে সরকারি সেবার ৯০ শতাংশ অনলাইনে নিয়ে আসার যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তা সর্বোত্তম শুদ্ধাচার চর্চার মাধ্যমে আপনারাই বাস্তবায়িত করবেন।

সেমিনারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক বলেন, দেশের মানুষকে দেশের স্বার্থেই সব আইন-কানুন সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। তাদেরকে সরকারের সব কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত করা এবং সরকারি সেবা প্রদান ও প্রাপ্তি সহজলভ্য করার জন্য আমাদেরকে নিরলসভাবে কাজ করলেই শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা করা সহজতর হবে।

এজন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবহার শুদ্ধাচার চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে সেমনিারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হারুনুর রশিদ, পার্থ প্রতিম দেব, সুশান্ত কুমার সাহা, আইসিটি অধিদফতরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক প্রমুখ।

এএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।