স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি স্মার্টফোন


প্রকাশিত: ০৩:৩৩ এএম, ০২ জুলাই ২০১৪

গ্যালাক্সি সিরিজের নতুন চারটি স্মার্টফোন এনেছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা স্যামসাং। গ্যালাক্সি কোর টু, গ্যালাক্সি স্টার টু, গ্যালাক্সি অ্যাস ফোর ও গ্যালাক্সি ইয়াং টু নামের সাশ্রয়ী মূল্যের চারটি স্মার্টফোনের উদ্বোধন করে প্রতিষ্ঠানটি। খবর টেলিগ্রাফ

গ্যালাক্সি সিরিজকে আরো শক্তিশালী করতেই নতুন পণ্যগুলো এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগের সপ্তাহে স্যামসাং স্বাস্থ্য সেবার ওপর গুরুত্ব দিয়ে ধুলা ও পানিরোধী গ্যালাক্সি এসফাইভ স্পোর্ট নামের আরো একটি ডিভাইসের উদ্বোধন করে। গ্যালাক্সি সিরিজের নতুন চারটি ডিভাইসেই অ্যান্ড্রয়েডের ফোর পয়েন্ট ফোর কিটক্যাট অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ডিভাইসগুলোর পর্দার আকার তুলনামূলক ছোট রাখা হয়েছে। এসফাইভের তুলনায় এর প্রসেসরের সক্ষমতাও কম। মূলত গ্যালাক্সি সিরিজের মতো জনপ্রিয় সিরিজের পণ্যগুলোকে সাধারণ গ্রাহকের দ্বারে পৌঁছে দিতেই কম দামের পণ্য বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নতুন ডিভাইসগুলোর মধ্যে গ্যালাক্সি কোর টুতে ব্যবহার করা হয়েছে ১ দশমিক ২ গিগাহার্টজ গতির কোয়াডকোর প্রসেসর। এতে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার পাশাপাশি রয়েছে ডুয়াল সিম প্রযুক্তি। অ্যাস ফোরে ব্যবহার করা হয়েছে ১ গিগাহার্টজ গতির ডুয়াল কোর প্রসেসর ও ১ হাজার ৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি।

গ্যালাক্সি ইয়াং টুতে রয়েছে ১ গিগাহার্টজ গতির প্রসেসর। ৩ দশমিক ৫ ইঞ্চি পর্দার ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। গ্যালাক্সি স্টার টুতে রয়েছে ১ গিগাহার্টজের প্রসেসর ও ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। পণ্যগুলোর দাম ও প্রাপ্তিকাল সম্পর্কে পরিবর্তীতে জানানো হবে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।

এদিকে সম্প্রতি এক বিবৃতিতে প্লাজমা প্যানেল পর্দার উত্পাদন বন্ধ করার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। প্লাজমা প্যানেল পর্দা টেলিভিশনের চাহিদা হ্রাস পাওয়ার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে গত মঙ্গলবারের ঘোষণায় জানায় প্রতিষ্ঠানটি। প্লাজমা প্যানেল পর্দার পরিবর্তে এখন প্রতিষ্ঠানটি অন্যান্য খাতে মনোনিবেশের পরিকল্পনা করছে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্লাজমা প্যানেল পর্দা উত্পাদন বন্ধ করবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।