ইন্টারনেটে নজরদারি বাড়াচ্ছে বিটিআরসি


প্রকাশিত: ০৩:৫৪ এএম, ০৫ মার্চ ২০১৫

ইন্টারনেটে নজরদারি বাড়াতে ও উসকানিমূলক বিভিন্ন কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। ব্যবস্থাটি পরিচিত ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন (আইএসএস) নামে। এ কার্যক্রম পরিচালনায় আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে বিটিআরসি শিগগিরই আর্থিক ও কারিগরি প্রস্তাবনা আহ্বান করবে।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে আইএসএস ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বিভিন্ন জটিলতায় দুই দফায় এ প্রক্রিয়া বাতিল করে। গত বছর তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করে এ ব্যবস্থা চালুর জন্য। এতে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান আবেদনপত্র জমা দেয়। সেগুলো যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বৈঠক করেছে সংশ্লিষ্ট কমিটি। আর্থিক ও কারিগরি প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই করে এর মধ্য থেকে একটি প্রতিষ্ঠানকে আইএসএস ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব দেয়া হবে।

প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কিনে তা কমিশনের মাধ্যমে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। পরবর্তীতে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ব্যবস্থাটি বাস্তবায়নে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে প্রথম দফার আগ্রহপত্র (ইওআই) বাতিল করে চলতি বছরের এপ্রিলে আবারো আবেদন আহ্বান করা হয়। এ প্রক্রিয়াও বিভিন্ন জটিলতায় বাতিল হওয়ায় তৃতীয় দফায় আগ্রহপত্র আহ্বান করে সংস্থাটি।

ইওআই অনুযায়ী, এ ফিল্টারিং ব্যবস্থার আওতায় ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) পর্যায়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার স্থাপন করার কথা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের। আর ইন্টারনেট কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের এ ব্যবস্থা এমনভাবে স্থাপন করতে হবে, যাতে আইআইজির স্বাভাবিক কার্যক্রমের বিঘ্ন না ঘটে। প্রাথমিকভাবে পাঁচ বছর মেয়াদে এ সেবা পরিচালনা করতে হবে।

এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।