রুশ হ্যাকারদের হাতে ১২০ কোটি পাসওয়ার্ড
৪ লাখ ২০ হাজার ওয়েবসাইট থেকে ১২০ কোটি পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়েছে রুশ হ্যাকাররা। হ্যাকিংয়ের তথ্য প্রকাশক প্রতিষ্ঠান হোল্ড সিকিউরিটিজের বরাত দিয়ে সম্প্রতি এ তথ্য জানায় নিউইয়র্ক টাইমস। তবে কোন কোন ওয়েবসাইট এ হামলার শিকার হয়েছে, এ বিষয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। খবর এপি
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী হ্যাকিংয়ের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতিটি খাতই এখন এ হামলার শিকার হচ্ছে। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় অনেক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত সাইবার হামলা পরিচালনার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইরান, ইসরায়েল, চীনের মতো রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় এ হামলার অভিযোগ ওঠে। রাশিয়াও এ তালিকায় যুক্ত অনেক আগে থেকেই। কিন্তু রুশ হ্যাকারদের সাম্প্রতিক হামলাটিকে অনেক বড় পরিসরের বলে উল্লেখ করেছেন সাইবার বিশ্লেষকরা।
ই-কমার্স খাতের পরিধি বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকের অনেক ব্যক্তিগত তথ্য-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে থাকার হারও বাড়ছে। সাম্প্রতিক বেশকিছু প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখযোগ্য হারে এ ধরনের হামলার শিকার হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আক্রান্ত ৪ লাখ ২০ হাজার ওয়েবসাইটের নাম ও ধরন জানা না গেলেও তাদের মধ্যে যে বিপুল পরিমাণে ই-কমার্স সাইটও রয়েছে, তা বলাইবাহুল্য। হোল্ড সিকিউরিটিজ নিউইয়র্ক টাইমসকে এ হামলা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট অনেক তথ্য প্রদান করলেও সাইটগুলোর নাম প্রকাশ করেনি। প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, সাইটগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থেই এগুলোর প্রকাশ হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, যেসব সাইটে গ্রাহক তথ্য রয়েছে, সে সাইটগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের গবেষক আভিভাহ লিটান এ বিষয়ে বলেন, যেসব কোম্পানি তাদের গ্রাহকদের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ডের মতো তথ্য সংরক্ষণ করে, তাদের তথ্যের নিরাপত্তার বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া উচিত।
এর আগে মার্কিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান টার্গেটের ওয়েবসাইটে হামলা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট থেকে প্রায় ৪ কোটি ক্রেডিট কার্ড নাম্বার ও গ্রাহকদের ৭ কোটি ঠিকানা হাতিয়ে নেয়া হয়।
হোল্ড সিকিউরিটিজের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, ১২০ কোটি পাসওয়ার্ড হাতিয়ে হ্যাকাররা বসে থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ সাইবার অপরাধীরা পাসওয়ার্ড ছাড়া আরও ৫০ কোটি ই-মেইল অ্যাড্রেসও হাতিয়ে নিয়েছে। এ ই-মেইল অ্যাড্রেসগুলো দিয়ে সাইবার অপরাধীরা আগামীতে আরো বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে সাইবার বিশ্লেষজ্ঞরা মনে করেন।
এ বিষয়ে হোল্ড সিকিউরিটিজের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা অ্যালেক্স হোল্ডেন জানান, চুরি যাওয়া তথ্যের কারণে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা আরও বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হতে পারেন।
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন হোল্ড সিকিউরিটিজ কর্মকর্তা হোল্ডেন।