বাংলালিংক-এর সাফল্যের দশ বছর (ভিডিও)
বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্কের আমূল পরিবর্তন এনে যাত্রা শুরু করে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিএসএম ভিত্তিক মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক। গৌবরময় সাফল্যের দশ বছর অতিক্রম করে এগারো বৎসরে যাত্রা শুরু করলো এই মোবাইল ফোন সেবা প্রতিষ্ঠানটি।
২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলালিংক বাংলাদেশে তার সেবা কার্যক্রম চালু করার সাথে সাথেই সাফল্য টের পায়। রাতারাতি মোবাইল টেলিফোন সেবা বিশাল সংখ্যক গ্রাহকের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়।
জনসাধারণের কাছে মোবাইল টেলিফোন আনয়ন” এই সাধারণ মিশনের উপর ভিত্তি করে বাংলালিংকের প্রাথমিক সাফল্য, যেটা তার কর্মকৌশলের চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করেছে। বাংলালিংকই মোবাইল ফোন ব্যবহারের অবস্থানকে বিলাসিতা থেকে পরিবর্তন করে নিত্য প্রয়োজনীয় সেবা হিসেবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে এসেছে এবং তাদের অন্তরে স্থান তৈরি করে নিয়েছে।
বাংলাদেশে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি প্রতীক হয়ে উঠেছে এই মোবাইল ফোন সেবা প্রতিষ্ঠানটি। সাশ্রয়ী যোগাযোগের সুবিধা প্রদান করে জনগণের ক্ষমতায়ন করা যাতে করে তারা জীবনে নতুন উদ্যোগ নিতে পারে এই প্রত্যয় থেকে উদ্ভূত বাংলালিংকের ব্র্যান্ড স্লোগান ‘নতুন কিছু করো’।
এমন নতুন উদ্যোগসমূহের মাধ্যমে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে যার ফলে জাতির সার্বিক উন্নতি সাধন হবে বলে বিশ্বাস করে এই মোবাইল ফোন সেবা প্রতিষ্ঠানটি।
শুরুর বছর ২০০৫ এর ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলালিংক-এর গ্রাহকসংখ্যা পৌঁছে যায় দশ লাখে এবং অক্টোবর ২০০৬-এর মধ্যে পৌঁছায় তিরিশ লাখ গ্রাহকে। এরপর মাত্র দু’বছরের মাথায় ৭১ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ডিসেম্বর ২০০৭-এর মধ্যে গ্রাহকসংখ্যায় তৎকালীন একটেলকে (বর্তমানে রবি) পিছনে ফেলে পরিণত হয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে। বর্তমানে বাংলালিংক-এর গ্রাহকসংখ্যা ২ কোটি ৯৪ লাখ (এপ্রিল ২০১৪ পর্যন্ত), যা দেশের মোট মোবাইল ব্যবহারকারীর ২৫.৪৭ শতাংশ।
আরএস