উড়োজাহাজ হ্যাকের প্রযুক্তি উদ্ভাবন
যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ হ্যাকের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন আইওঅ্যাকটিভ সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের গবেষক রুবেন সান্তামার্টা। হ্যাকারদের চলতি বছরের বার্ষিক সম্মেলন ব্ল্যাক হ্যাটে এ প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হবে। এ ধরনের প্রযুক্তি উড়োজাহাজ হ্যাকিং প্রতিরোধে পর্যাপ্ত ধারণা দেবে বলে জানান সান্তামার্টা। খবর রয়টার্স
বিশ্লেষকদের মতে, ছিনতাইয়ের চেয়ে উড়োজাহাজ হ্যাক করা সহজ। কারণ এতে করে উড়োজাহাজটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে যায় সাইবার অপরাধীদের হাতে। এ অবস্থায় উড়োজাহাজে অবস্থানকারীদেরও কিছু করার থাকে না।
গবেষক রুবেন সান্তামার্টা জানিয়েছেন, তার সাম্প্রতিক প্রযুক্তি উড়োজাহাজ হ্যাকিং রোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। কোনো দুর্ঘটনার পথ জানা থাকলে, তা প্রতিরোধ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
এ কারণেই তার প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট খাতের নিরাপত্তায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ফ্লাইটের বিনোদন ব্যবস্থা ও ওয়াই-ফাই ব্যবস্থার মাধ্যমে উড়োজাহাজে বসেই যে কেউ এটি হ্যাক করতে পারে। উড়োজাহাজের যোগাযোগ যন্ত্রাংশ পরিচালনায় সাধারণত ফার্মওয়্যার নামের বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। এ সফটওয়্যার ব্যবহার করেই সান্তামার্টা হ্যাকিং প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন। ফার্মওয়্যার সফটওয়্যারটি মূলত তৈরি করে কোবহাম, হ্যারিস, ইকোস্টার করপোরেশনের হিউজেস নেটওয়ার্ক সিস্টেম, ইরিডিয়াম কমিউনিকেশনস এবং জাপানের রেডিও কো লিমিটেডের মতো প্রতিষ্ঠান।
সান্তামার্টা দাবি করেন, ফার্মওয়্যার সফটওয়্যারটির মধ্যে নিরাপত্তা দুর্বলতা রয়েছে। তাই এটি ব্যবহার করে খুব সহজেই উড়োজাহাজ হ্যাক করা সম্ভব।
তবে কোবহাম, হ্যারিস, হিউজেস ও ইরিডিয়ামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সান্তামার্টার প্রযুক্তি নিয়ে তারা বিশদ গবেষণা করেছেন। তাই ফার্মওয়্যার সফটওয়্যারটিতে নিরাপত্তা ত্রুটি থাকার বিষয়টি তারা একেবারে উড়িয়ে দেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলার পরিমাণ অধিক হারে বেড়েছে। মূলত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ হামলার শিকার হলেও অন্যান্য খাতও এ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। বর্তমান সময়ে মানুষের অসৎ ইচ্ছা পূরণের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে সাইবার হামলা।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে ব্ল্যাক হ্যাট প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি হ্যাকারদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। সম্মেলনটি মূলত সাইবার হামলার প্রভাব কমিয়ে আনতেই প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয়।