জনপ্রিয় হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং
পণ্যের বিপণনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ডিজিটাল মার্কেটিং। মাধ্যমটি হয়ে উঠেছে সম্ভাবনাময় ভার্চুয়াল বাজার। দেশের আইসিটি সেক্টরে আশাতীত উন্নয়নের ফলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। বিশেষ করে কর্পোরেট খাতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা ও ক্ষেত্র বহুগুনে সম্প্রসারিত হয়েছে।
উদ্যোক্তারা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করছেন। ফলে সময় ও অর্থের অপচয় কমে আসছে এবং প্রতিযোগিতার বাজারে বাড়ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রভাব। প্রায় ছয় হাজারেরও বেশি জনবল ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করছেন।
প্রযুক্তিবিদদের মতে, ডিজিটাল প্রযুক্তি এখন হয়ে উঠেছে আধুনিক যুগের ‘সোনার ডিমপাড়া রাজহাঁস’। যে কারণে এটিকে পোষা হচ্ছে ঘরে বাইরে হাতে হাতে। এর সুফলে ভোক্তারা ঘরে বসেই পাচ্ছেন প্রযোজনীয় সবকিছু।
বাংলাদেশে যেহেতু ফেসবুকের জনপ্রিয়তা বেশি, তাই এটিই এখন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রধান ক্ষেত্র। দেশের প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ডিজিটাল মার্কেটিং এ মাধ্যমে হয়ে থাকে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাগো নিউজকে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর কোন স্বপ্ন নয়। এটি বাস্তবে রূপ নিয়েছে। তবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে ইন্টারনেট সেবা কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের কাছে থাকতে হবে। সবার মাঝে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য সরকার সচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হলো মানুষকে ইন্টারনেট সেবার সঙ্গে যুক্ত করা। তখন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সত্যিকার সুফল পাওয়া যাবে।
বিটপি লিও বার্নেটের ডিজিটাল কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর নওশের রহমান বলেন, সারা বিশ্বেই এখন ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমরা নিজেরাই আন্তর্জাতিক মানের একটি সম্মেলনও করেছি। এতে ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি ম্যাকডোনাল্ডের একটি অ্যাপসের উদাহরণ দিয়ে বলেন, অ্যাপসটির ব্যবহারকারী প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠার জন্য অ্যালার্মের পাশাপাশি একটি ব্রেকফাস্ট আইটেম ফ্রি পাবেন। এ ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং ম্যাকডোনাল্ডের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। এ থেকে বিশ্বব্যাপি ম্যাকডোনাল্ড বাণিজ্যিকভাবেও সফল হয়েছে।
বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে সফটওয়ার রফতানিকারকদের সংগঠন বেসিস এর সভাপতি মোস্তাফা জাব্বার বলেন, বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে মিডিয়া। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট উভয় মিডিয়ায় এখনো এনালগ মার্কেটিং ব্যবস্থা প্রতিনিধিত্ব করে। অনলাইন মিডিয়া একটু ব্যাতিক্রম। এ অবস্থার পরিবর্তনে আগামি এক দশক সময় দরকার।
আরএম/এআরএস/এমএস