পিআইবিতে ডিজিটাল কর্মশালা
জনগণকে নিজ উদ্যোগে স্ব-স্ব প্রযুক্তি স্বাক্ষরতা বাড়াতে হবে এবং এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে হবে। আর সার্বিক সফলতায় গণমাধ্যম কর্মীরাই পারে প্রান্তিক পর্যায়ে জনসচেতনতা ছড়িয়ে দিতে।
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক পরিকল্পনা কর্মশালায় এমন মন্তব্য করেছেন সরকারের এটুআই প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা। শনিবারের এই কর্মশালায় ৪৫ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে নাইমুজ্জামান মুক্তা বলেন, উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে পিআইবি মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর বলেন, সাধারণ জনগণকে প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করার জন্য গণমাধ্যমের বিকল্প নেই। সেজন্য সাংবাদিকদের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে যেমন দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, তেমনি জনগণকেও এ ধারায় যুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক রিপোর্টিং কর্মশালা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে মফস্বলের সাংবাদিকরা এ কর্মশালার মাধ্যমে বেশি উপকৃত হচ্ছে।
পিআইবি মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দৈনিক প্রথম আলোর ডেপুটি এডিটর সোহরাব হাসান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগগুলো যেমন গণমাধ্যমে উঠে আসা দরকার, তেমনি এ প্রকল্পের ভালো মন্দ, সীমাবদ্ধতা পত্রিকায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে।
কর্মশালায় আরো বক্তব্য রাখেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. মুহিবুল হোসাইন, পিআইবি’র অধ্যয়ন প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক আনোয়ারা বেগম ও পিআইবি’র সহকারী প্রশিক্ষক নাসিমূল আহসান।