এখনো ৩ কোটিরও বেশি সিম অনিবন্ধিত


প্রকাশিত: ০২:০২ পিএম, ২৮ মে ২০১৬

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন নিশ্চিত করতে নগদ অর্থ ও পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েও মোবাইল কোম্পানিগুলো কূলকিনারা পাচ্ছে না। সরকারের বেধে দেয়া সময়সীমার আছে আর মাত্র তিনদিন। অথচ ১৩ কোটি সিমের মধ্যে এখনো তিন কোটিরও বেশি সিম নিবন্ধিত হয়নি। এ হিসেবে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ১০ লাখ সিম নিবন্ধন করতে হবে।

বিটিআরসি সূত্র থেকে জানা যায়, দেশে চালু মোট ১৩ কোটি ১৯ লাখ মোবাইল সংযোগের মধ্যে ৯ কোটি ৭০ লাখ সিম নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। সর্বোচ্চ সংখ্যক সিমের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন নিশ্চিত করতে নগদ অর্থ ও পুরস্কারও কোনো কাজে আসছে না। আর শেষ বেলায় কাস্টমার কেয়ারগুলোতে গিয়ে গ্রাহকরা পড়ছেন অন্তহীন বিড়ম্বনায়।

গ্রামীণফোন, বাংলালিংকসহ অধিকাংশ অপারেটরের বিরুদ্ধে ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ডাকসাইটে থাকা এক অভিনেত্রী গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। এমন এক তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ। বৃহস্পতিবার তার ফেসবুকে একটি ভিডিওএর মাধ্যমে এ অভিযোগ করেন।

ভিডিওতে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবারসহ তিনদিন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করতে এসেছেন তিনি। প্রতিবারই টোকেন নিয়ে দুই-তিন ঘণ্টা বসেছিলেন। শেষ সময়ে এসে তাকে বলা হয় সার্ভার অকার্যকর, পরবর্তী খোলার দিনে আসেন। এ পরিস্থিতিকে চরম অবমাননাকর উল্লেখ করে প্রসূন আজাদ আরো বলেন, গ্রামীণফোনের সার্ভার তবে নিরক্ষররা (অশিক্ষিত) চালায়।

অপারেটরদের গ্রাহকসেবা প্রদানকারী এক এজেন্ট জহিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গ্রাহকদের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ ও শনাক্তকরণে তাদের সার্ভার ঘনঘন ডাউন হচ্ছে। অনেকে বিরক্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাজাহান মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, পুনঃনির্ধারিত মেয়াদ অনুযায়ী বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন ৩১ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, তবে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন বহির্ভুত সিম এই দিন ‘জিরো আওয়ার’ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।

বায়োমেট্রিক নিবন্ধন পরিস্থিতির বর্তমান অবস্থা এবং পরবর্তী ব্যবস্থা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানা গেছে।

আরএম/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।