স্মার্টফোনের গড় আয়ু কতদিন জানেন?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:২৯ এএম, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

স্মার্টফোন সারাক্ষণের সঙ্গী। কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা, শপিং করে বিল মেটানো থেকে শুরু করে বাস-ট্রেনের টিকিট কাটা, সিনেমা দেখা সবই সম্ভব এক স্মার্টফোনে। তাই তো বলা যায়, সঙ্গে স্মার্টফোন থাকলে আর কিছুই লাগে না।

তবে সারাক্ষণের সঙ্গী এই স্মার্টফোনের আয়ু কত জানেন? অর্থাৎ এটি স্মার্টফোন কতদিন পর্যন্ত আসলে ব্যবহার করা যেতে পারে। ব্যবহারের নানান ভুলে স্মার্টফোন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। কিংবা নতুন স্মার্টফোন বাজারে এলেই কিনতে চান।

অনেকেই ৩-৪ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে একই স্মার্টফোন মডেল ইউজ করছেন। আর সেসব ফোন চলছেও খুব ভালো। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেন, ফোন হাত থেকে পড়তে ক্ষতি হয় বেশি। আর সেই ক্ষতি অনেক সময় বাইরে থেকে দেখে বোঝা যায় না। ফলে অনেকেই ফোনে ভাল কভার ব্যবহার করেন।

আরও পড়ুন

স্মার্টফোন মানে ইলেকট্রনিক ডিভাইস। তার ব্যাটারিতে একাধিক কেমিকেল ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয়। সেগুলির মেয়াদ একটা সময়ের পর শেষ হয়ে যায়। তবে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নেই। এতে প্রয়োজন মতো ব্যাটারি বা অন্যান্য পার্টস পরিবর্তন করে ব্যবহার করা যেতে পারে। অর্থাৎ স্মার্টফোনের এক্সপায়ারি ডেট বলে কিছু নেই।

অনেকেই ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তারা কোনো রিপ্লেসমেন্ট ছাড়াই বহু বছর ধরে নির্দ্বিধায় নিজেদের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের ফোনে যে চিপ এবং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয় তা বছরের পর বছর চলতে থাকে।

তবে বর্তমানে স্মার্টফোন নির্মাতারা ২-৩ বছর পর স্মার্টফোনের সফটওয়্যার আপডেট করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে পুরোনো স্মার্টফোন আর ব্যবহারযোগ্য থাকে না। অনেকক্ষেত্রে কোম্পানি দুই থেকে তিন বছর পর ওই নির্দিষ্ট মডেলের অ্যাকসেসরিজ তৈরিও বন্ধ করে দেয়।

স্মার্টফোন কখন পরিবর্তন করা উচিত? আসলে ফোন ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করছে এই প্রশ্নের উত্তর। অনেকেই ঘন ঘন নিজেদের স্মার্টফোন পরিবর্তন করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহারযোগ্য, ততক্ষণ তা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রয়োজনে খারাপ ব্যাটারি এবং স্ক্রিন পরিবর্তন করেও ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন

সূত্র: মেক ইউজ অব

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।