শীতে হিটার চালিয়েও বিদ্যুৎ খরচ কমাবেন যেভাবে
শীতের সময় বাসাবাড়িতে সবচেয়ে বেশি যে গ্যাজেটটি কাজে লাগে সেটি হচ্ছে হিটার। ঘর গরম রাখতে অনেকেই হিটার ব্যবহার করেন। তবে ঘরে হিটার ব্যবহার করে আরাম পেলেও বিদ্যুৎ খরচের দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে। কারণ গিজার, হিটারের মতো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট ব্যবহারে শীতেও আপনার বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশ হতে পারে।
তবে কিছু টিপস মেনে হিটার ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কমতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো-
হিটারের থার্মোস্ট্যাট সেটিং ঠিক রাখুন
হিটার ব্যবহারের সময় থার্মোস্ট্যাট বা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সেটিংগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করুন। খুব বেশি গরম না করে ২০-২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা রাখুন, যা আরামদায়ক এবং বিদ্যুৎ খরচ কম রাখে।
টাইমার ব্যবহার করুন
হিটারটি একটানা চালিয়ে না রেখে নির্দিষ্ট সময় পর বন্ধ করতে টাইমার ব্যবহার করুন। শীতকালে রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় হিটার বন্ধ করতে পারেন, যাতে আপনি নিখুঁতভাবে ঘুমাতে পারেন এবং বিদ্যুৎ খরচ কমে।
ঘরের তাপমাত্রা ধরে রাখুন
জানালা ও দরজার ফাঁকা সিল করুন যাতে ঠান্ডা বাতাস ভেতরে ঢুকতে না পারে। এতে হিটারকে বেশি কাজ করতে হবে না। ঘরের ভিতর বেশি কম্বলের ব্যবহার করুন এবং দেয়ালে অতিরিক্ত ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করুন (যেমন-ফেনসিড, ফ্ল্যাপ টেপ)।
হিটার শক্তি খরচ কমানোর জন্য ব্যবস্থাপনা
বিভিন্ন ধরনের হিটার রয়েছে। যেমন- কনভেকটিভ, ইনফ্রারেড ইত্যাদি। ইনফ্রারেড হিটার সাধারণত আরও শক্তি সাশ্রয়ী হতে পারে, কারণ এটি সরাসরি বস্তু বা মানুষের দিকে তাপ সরবরাহ করে, পুরো ঘর গরম করার প্রয়োজন হয় না।
হিটার ব্যবহার কৌশল
যদি সম্ভব হয়, একটি রুম হিটার একাধিক ঘরে ব্যবহার না করে, কেবল প্রয়োজনীয় ঘরে ব্যবহার করুন।
ইনসুলেশন বা তাপ নিরোধক ব্যবহার করুন
কাচের জানালা বা কাঁচের দিকে তাপ বের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাই ডবল কাঁচ বা বিশেষ তাপ নিরোধক কাচ ব্যবহার করতে পারেন। রুমের দেয়াল ও ছাদে ইনসুলেশন উপকরণ ব্যবহার করে তাপ রক্ষা করতে পারেন, যাতে তাপ বেশি বাইরে না চলে যায় এবং রুমটি দ্রুত গরম হয়।
ভেন্টিলেটর বা ফ্যান ব্যবহার করুন
হিটারের কাছের তাপ নীচে ও চারপাশে ছড়িয়ে দিতে ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন। এতে রুমটি দ্রুত গরম হবে এবং হিটারকে বেশি কাজ করতে হবে না।
হিটার পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করুন
হিটার বা যে কোনো তাপ উৎপাদক ডিভাইস নিয়মিত পরিষ্কার করুন। ময়লা জমলে তাপ উৎপাদনে সমস্যা হতে পারে এবং বিদ্যুৎ খরচ বাড়ে।
আরও পড়ুন
কেএসকে/এমএস