বাংলাদেশ থেকে ১ কোটি ২১ লাখের বেশি ভিডিও সরালো টিকটক

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

সম্প্রতি ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে টিকটক। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সময়ের তথ্য এই প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে। কমিউনিটি গাইডলাইনস লঙ্ঘন করে এমন কনটেন্ট শনাক্ত এবং অপসারণের জন্য টিকটক নেওয়া পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এতে দেওয়া হয়েছে।

মূলত ব্যবহারকারীদের জন্য নিরাপদ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরির প্রতিশ্রুতিকে প্রতিবেদনটি তুলে ধরে টিকটক। বাংলাদেশের প্রতিবেদনে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের মাত্রা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোট ১ কোটি ২১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪৫টি ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে যা প্রথম প্রান্তিকে ছিল ৭১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩২। বাংলাদেশে সক্রিয়ভাবে ভিডিও অপসারণের হার ৯৯.৬ শতাংশ যেখানে ৯৭.২ শতাংশ ভিডিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয়েছে।

এই প্রান্তিকে বিশ্বজুড়ে টিকটক মোট ১৭ কোটি ৮৮ লাখ ২৭ হাজার ৪৬৫টি ভিডিও সরিয়ে ফেলেছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা সব ভিডিওর প্রায় ১.০ শতাংশ। এরমধ্যে ১৪ কোটি ৪৩ লাখ ১৩৩টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্তকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত এবং অপসারণ করা হয়েছে। আবার ৫৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩১৮টি ভিডিও যাচাই-বাছাই করে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় রাখা হয়েছে। এবার সক্রিয়ভাবে ভিডিও অপসারণের হার ছিল ৯৮.২ শতাংশ যেখানে পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯৩.৫ শতাংশ ভিডিও মুছে ফেলা হয়।

মুছে ফেলা ভিডিওগুলোর মধ্যে ৩১ শতাংশ কনটেন্ট ছিল সংবেদনশীল বিষয়বস্তু সম্পর্কিত যা টিকটকের কনটেন্টের নীতিমালার সাথে সঙ্গত নয়। এছাড়া এই ভিডিওগুলোর মধ্যে ১৫.১ শতাংশ ভিডিও প্ল্যাটফর্মের সুরক্ষা মানদণ্ড লঙ্ঘন করে, এবং ৪.৭ শতাংশ ভিডিও সরানো হয় গোপনীয়তা এবং সুরক্ষার নির্দেশনা ভঙ্গ করার জন্য।

প্রথম প্রান্তিকের মতো, সরিয়ে ফেলা কোভার্ট ইনফ্লুয়েন্স অপারেশনস (সিআইও) নেটওয়ার্কগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণীর প্রকাশ অব্যাহত রাখবে টিকটক। এতে একটি নতুন আলাদা প্রতিবেদনে ব্যাহত হওয়া অপারেশনগুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্টের পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রকাশনা স্বচ্ছতার প্রতি টিকটকের প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে। এই প্রতিবেদনটি কনটেন্ট এবং অ্যাকাউন্টের অ্যাক্টিভিটির মাত্রা এবং প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা দেয়। ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং টিকটকের কনটেন্ট গাইডলাইনস, টুলস এবং নীতিমালা সম্পর্কে আরও জানতে টিকটকের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টারে ভিজিট করতে পারেন।

এমআই/কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।