গাড়িতে মরিচা ধরা রোধ করবেন যেভাবে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২৩ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন কারণে গাড়িতে জং বা মরিচা ধরতে পারে। গাড়িতে জং ধরার সমস্যা খুবই সাধারণ। যদিও এতে গাড়ির রঙের পাশাপাশি গাড়ির নানা ধাতব অংশও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ভারতের মতো দেশে যেখানে জলীয় বাষ্পের সমস্যা সারা বছরই লেগে থাকে, সেখানে গাড়িতে জং ধরা খুবই সাধারণ।

সাধারণত লোহা এবং অক্সিজেন জলের সংস্পর্শে আসে তখন রাসায়নিক বিক্রিয়ার দরুন জংয়ের সমস্যা হয়। এটি ধাতুর ওপরের অংশ বাদামি রঙের একটি আস্তরণ। যেহেতু বেশিরভাগ সময় গাড়ি বৃষ্টি, রোদ, ধুলোবালির সংস্পর্শে আসে তাই গাড়িতে জং ধরা ঠেকানো প্রায় অসম্ভব বললেই হয়।

তবে কিছু সতর্কতা মানলে সহজেই আপনার শখের গাড়িটিকে মরিচা পড়া থেকে বাঁচাতে পারবেন। দেখে নিন সেগুলো-

নিয়মিত ধোয়া এবং শুকানো
গাড়িটি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। বিশেষ করে নোনা পানি বা মাটির সংস্পর্শে আসলে গাড়ি সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং শুকিয়ে নিন।

পেইন্ট সুরক্ষা
গাড়ির বাইরের পেইন্টে কোটিং বা ওয়াক্স ব্যবহার করুন, যা মরিচা প্রতিরোধে সহায়ক। এছাড়া গাড়ির গায়ে ভালো মানের ওয়াক্স কোটিং লাগাতে হবে। এটা প্রতিরক্ষামূলক স্তর হিসেবে কাজ করে। গাড়ির শরীর পর্যন্ত পানি এবং আর্দ্রতা পৌঁছতে বাধা দেয়। এতে রং ভালো থাকে। মরচে পড়ার ঝুঁকিও কমে।

আন্ডার কোটিং
গাড়ির নিচে আন্ডারকোটিং করা হয়। এখানে পানি বেশি লাগে। মরচে পড়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে। তাই আন্ডারকোটিং করালে আর্দ্রতা এবং মরচে পড়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। খুব বেশি নোংরাও হবে না।

নিরাপদ গ্যারেজে রাখা
গাড়িটি সম্ভব হলে গ্যারেজে রাখুন। সরাসরি সূর্যালোক ও বৃষ্টির প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে। এমন জায়গায় পার্ক করুন। এতে গাড়িটি মরিচা থেকে রক্ষা করা যাবে।

নিয়মিত পরিদর্শন
মাঝে মাঝে গাড়ির নিচের অংশ এবং অ্যালুমিনিয়াম বা স্টিলের অংশগুলো পরিদর্শন করুন। মরিচার প্রথম লক্ষণ দেখলেই ব্যবস্থা নিন। গাড়িতে কোনো রকমের স্ক্র্যাচ থাকলে অবিলম্বে মেরামত করা উচিত। কারণ ওই অংশে মরচে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে।

কেমিক্যাল ব্যবহার করতে পারেন
মরিচা প্রতিরোধী স্প্রে বা কোটিং ব্যবহার করতে পারেন।

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।