চোখের পলকেই শেষ হচ্ছে ফোনের চার্জ, যা করবেন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দিনের বেশিরভাগ সময়টাই কাটছে স্মার্টফোনে। স্মার্টফোন ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি ঝামেলায় পড়তে হয় চার্জ নিয়ে। অনেকসময় দেখা যায়, ফুল চার্জ করে রাখলেও একটু পর চার্জ করে যাচ্ছে। ব্যবহার না করলেও এখন দেখলেন ৮০ শতাংশ, কিছুক্ষণ পরই ৫০ শতাংশতে নেমে আসছে।

চোখের পলকেই যেন শেষ হয়ে যাচ্ছে ফোনের চার্জ। এমনটা বিভিন্ন কারণেই হতে পারে। সার্ভিসিংয়ে নেওয়ার আগে নিজেই সমাধান করতে পারবেন এই সমস্যার। স্মার্টফোনের ৫টি ফিচার বন্ধ রাখলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ব্যাটারির আয়ুও বাড়বে। দেখে নিন সেগুলো কী কী-

১. স্ক্রিন ব্রাইটনেস
ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলঘ ডিসপ্লের ব্রাইটনেস। অনেকেই ব্রাইটনেস বাড়িয়ে রাখেন। এতে ব্যাটারি বেশি খরচ হয়। এটা কমিয়ে রাখলেই অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে। চোখও আরাম পাবে। সঙ্গে স্ক্রিন টাইমআউট সেটিংসও কমিয়ে রাখতে হয়।

২. ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ
এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো বন্ধ করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে। ফলে প্রচুর ব্যাটারি খরচ হয়। তাই প্রত্যেকটা অ্যাপ যথাযথভাবে বন্ধ করা উচিত। এছাড়া অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে অটো আপডেট হতে থাকে, সেগুলোও বন্ধ করতে হবে।

৩. লোকেশন শেয়ারিং
লোকেশন শেয়ার করার কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। বিশেষ করে আইফোনে। তাই প্রতিটা অ্যাপেরই লোকেশন শেয়ারিং বন্ধ রাখা উচিত। এর জন্য সেটিংসে গিয়ে প্রাইভেসিতে ঢুকে ‘লোকেশন সার্ভিস’-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর “অলওয়েজ’-এর বদলে ‘অ্যাপ ইউজ’ অপশনে ক্লিক করুন।

৪. ওয়াইফাই অপশন
ফোনে সেলুলার নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে বেশি ব্যাটারি খরচ হয়। ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে কম। এই পরিস্থিতিতে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে চার্জ অনেকক্ষণ থাকবে।

৫. পুশ নোটিফিকেশন
ব্রেকিং নিউজ থেকে শুরু করে ডেলিভারি অ্যাপ, ফোনে সারাক্ষণ পুশ নোটিফিকেশন আসতেই থাকে। এর জন্যও অনেক ব্যাটারি খরচ হয়।

আরও পড়ুন
নতুন ফোন কেনার আগে খেয়াল রাখুন ৫ বিষয়ে
ফোনের ডাটা দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়া আটকাবেন যেভাবে

সূত্র: মেক ইউজ অব

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।