সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের প্রসারে ১০ হাজার বিশেষজ্ঞ তৈরি করা হবে: পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৪

সেমিকন্ডাক্টর শিল্পখাতের প্রসারে দেশে ১০ হাজার বিশেষজ্ঞ তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। দ্রুত বর্ধনশীল বিশ্ব অর্থনীতিতে এ শিল্পের প্রসারে দেশের হয়ে তারাই সম্পদ হিসেবে কাজ করবে বলেন জানান তিনি।

পলক বলেন, সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য দেশের স্নাতক প্রকৌশলীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, সেমিকন্ডাক্টর, বেসিক এআই ও ভবিষ্যতে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে যথাযথ টপ-আপ প্রশিক্ষণ দিয়ে এক দশকে ১০ হাজার বিশেষজ্ঞ তৈরি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ‘ডেভেলপিং দ্য সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজায় ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এসময় পলক বলেন, আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ১০ বছর আগে মাইক্রোচিপ ডিজাইনিং, ম্যানুফাকচারিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিকস এবং সাইবার সিকিউরিটির মতো চারটি ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তি সম্পর্কে গুরুত্ব সহকারে মনোনিবেশ করার জন্য বলেছিলেন। ১০ বছর পরে এসে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, কীভাবে এ সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিশ্ব অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে। রোবোটিকস কীভাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের প্রতিস্থাপন করছে। এমনকি সাইবার নিরাপত্তাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের প্রসারে ১০ হাজার বিশেষজ্ঞ তৈরি করা হবে: পলক

তিনি বলেন, এ চারটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আইসিটি বিভাগ দক্ষ মানব সম্পদ উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, শিল্পনেতা এবং উদ্যোক্তাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনের সুযোগ দিচ্ছি। যাতে তারা বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের উদ্ভাবনী পণ্য ও সমাধান তৈরি করতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, সেমিকন্ডাক্টর বা মাইক্রোচিপ ম্যানুফ্যাকচারিং খাত বর্তমানে সারা বিশ্বের ইলেকট্রনিকস ও প্রযুক্তি খাতে দ্রুত বর্ধনামান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশ্বে সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। দেশের প্রকৌশলীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে তারা চিপের নকশা ও অ্যাসেম্বলিংয়ের কাজ করতে পারবেন। ফলে দেশের বিলিয়ন ডলার আয়ের সম্ভাবনা তৈরি হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এমসিসিআই’র সভাপতি কামরান টি রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এম রোকনুজ্জামান, ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ক্যালিফোর্নিয়া ইএক্সো ইমেজিং ইনক ড. ইউসুফ হক ও এমসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করিম প্রমুখ।

এএএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।