বর্ষায় এসি চালিয়েও বিদ্যুৎ বিল কমাবেন যেভাবে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৫০ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২৪

তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনে দিলেও রোদের তেজে আবারও আগের মতোই অবস্থা। এসময় এসি ব্যবহার করছেন কমবেশি সবাই। দেখা যায় বৃষ্টির মধ্যেও ভ্যাপসা গরমে এসি চালিয়ে রাখছেন। বর্ষায় এসি চালালে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। না হলে বেশ কিছু ঝামেলায় পড়তে পারেন।

সবচেয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে বিদ্যুৎ বিল। বর্ষাকালে কীভাবে এসির যত্ন নেবেন তা জেনে নিলেই মাসে মাসে বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারবেন। জেনে নিন কীভাবে বিদ্যুৎ বিল কমাবেন-

>> বর্ষাকালে এসির তাপমাত্রা সবসময় স্বাভাবিক রাখুন। যদি তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৮ -এর মধ্যে রাখা হয় তবে ঘরটি ঠান্ডা থাকবে এবং আর্দ্রতার মাত্রা হ্রাস পাবে।

>> আর্দ্রতার মাত্রা কমাতে ড্রাই মোডে এসি চালাতে পারেন। এভাবে আপনার বিদ্যুৎ বিল বাড়বে না এবং এসি কম্প্রেসারের তাপ এবং কাজের চাপ বাড়বে না।

>> গরমের মতো বৃষ্টিতেও একটানা এয়ার কন্ডিশনার চালানো এড়িয়ে চলা উচিত। বারান্দা বা ছাদে বাইরে রাখা এসি ইউনিটটি ঢেকে রাখুন, যাতে পানি ঢুকতে না পারে। কখনো কখনো এগুলো পানির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বা বৈদ্যুতিক প্রবাহ তাদের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। এতে ওয়্যারিংয়েও সমস্যা হতে পারে।

>> বৃষ্টির সময় কারেন্টের সমস্যাও বেশি বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে এসি চালু থাকলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। আকস্মিকভাবে এসি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এমন হতে পারে। তাই সরাসরি সুইচ বোর্ডে লাগিয়ে এসি ব্যবহার করা এড়ানো উচিত।

>> স্টেবিলাইজার ব্যবহার করুন যাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ভোল্টেজ ওঠানামা না হয়। এটি বাড়ির ইলেকট্রনিক্সের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

>> বৃষ্টির সময়ও এসি সার্ভিসিং করা উচিত। যদি কোনো বড় সমস্যা হয়, আপনি এটি করানোর সময়েই জানতে পারবেন এবং বিশাল খরচ থেকে রক্ষা পাবেন।

>> বর্ষায় এসির পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে হবে অন্যান্য সময়ের মতোই। প্রতি দশ দিনে ফিল্টারটি খুলে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না, তা না হলে ময়লা আটকে যাওয়ার কারণে ঘরটি ঠান্ডা হবে না এবং আর্দ্রতা থাকবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।