টেলিফোন থেকে সোশ্যাল মিডিয়া যোগাযোগের বৈপ্লবিক পরিবর্তন
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম বিশ্বের অন্যতম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। সারাক্ষণ কোনো না কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটাচ্ছেন। এখন সোশ্যাল মিডিয়া শুধু ছবি, স্ট্যাটাস বা ভিডিও পোস্ট করার প্ল্যাটফর্ম নয়। ব্যবসা বা টাকা আয় করার দারুণ এক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।
সারা বিশ্বের মানুষ বিনোদনের জন্য এবং দেশ বিদেশের মানুষদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড সংস্থার এক গবেষণার রিপোর্টে জানা যায়, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। আর সংখ্যার নিরিখে যেটা গিয়ে দাঁড়ায় ৫ বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০০ কোটির কাছাকাছি।
তবে সোশ্যাল মিডিয়া বিনোদনের খোঁড়াক মেটালেও এটি মূলত যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। টেলিফোন থেকে ফ্যাক্স এবং এরপর সোশ্যাল মিডিয়া। যোগাযোগের এই বৈপ্লবিক পরিবর্তন বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে গেছে কয়েক ধাপ। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢুঁ মারলেই আপনি বিভিন্ন দেশের সাম্প্রতিক খবরও জানতে পারবেন।
এক গবেষণায় বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে ১৪৪ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরতে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়া দিবস উদযাপন করা হচ্ছে। আজ ৩০ জুন সারাবিশ্বে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া দিবস।
আরও পড়ুন
২০১০ সাল থেকে ম্যাশাবল ‘বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া’ দিবস পালন করা শুরু করে। বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রভাব এবং বিশ্ব যোগাযোগের ক্ষেত্রে এর ভূমিকার উপর জোর দেওয়ার জন্য ‘বিশ্ব সোশ্যাল মিডিয়া’ দিবসটি তখন পালিত হয়েছিল।
প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম সিক্সডিগ্রিজ ১৯৯৭ সালে বিশ্বব্যাপী চালু করা হয়েছিল। এটি অ্যান্ড্রু ওয়েইনরিচ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০০১ সালে সিক্সডিগ্রিজের এক মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী হয়ে যাওয়ার পর এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ২০০২ সালে লঞ্চ হয় ফ্রেন্ডস্টার নামে আরেকটি আধুনিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ২০০৩ সালে আসে লিঙ্কডইন। এরপর ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, স্ন্যাপচ্যাটসহ অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম।
সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বের প্রতিটি কোণের মানুষকে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া খুব প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্র্যান্ড প্রচারেও সহায়তা করে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ এবং ঘটনাগুলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দ্রুত শেয়ার করা হচ্ছে। আজকের সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া গেম চেঞ্জারে পরিণত হয়েছে।
এছাড়াও করোনা মহামারির মধ্যে হতাশাগ্রস্ত মানুষের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলো হেল্পলাইনে পরিণত হয়েছিল। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে আয়ের অন্যতম মাধ্যম। যেখানে অসংখ্য উদ্যোক্তারা নিজেদের একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন। আয়ের পথ তৈরি করছেন নিজের এবং সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান করছেন হাজারো বেকার তরুণ-তরুণীর।
আরও পড়ুন
কেএসকে/এএসএম