বাইকের মাইলেজ কমতে পারে আপনার ছোট্ট যে ভুলে
বাইক কেনার সময় সবাই প্রথমেই যে জিনিসটা দেখেন তা হচ্ছে বাইকটির মাইলেজ কেমন। কারণ এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তবে বাইক চালানোর কিছুদিন পরই দেখা যায় মাইলেজ কমতে থাকে।
মাঝে মাঝেই দেখা যায় শখের মোটরসাইকেল ভালো মাইলেজ দিচ্ছে না! এদিকে পেট্রোলের দাম আকাশ ছোঁয়া। চিন্তায় কপালের ভাঁজও দীর্ঘ হচ্ছে আপনার। এমন হতে পারে আপনার ব্যবহারের ছোট্ট ছোট্ট ভুলে কমতে পারে বাইকের মাইলেজ।
বাইক চালানোর সময় গিয়ারের সঠিক ব্যবহার শুধু মাইলেজই বাড়ায় না, রাইডিংকে নিরাপদ ও আনন্দদায়ক করে তোলে। বাইকের গিয়ার সঠিক উপায়ে লাগাতে পারলে, বাড়তে পারে সেই বাইকের মাইলেজ। এজন্য বাইকের গিয়ার লাগানোর সঠিক উপায় জানা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। সেসব ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন-
ক্লাচের সঠিক ব্যবহার করুন
গিয়ার পরিবর্তন করার সময় সর্বদা ক্লাচ সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা উচিত। অর্ধেক চাপা ক্লাচ গিয়ারের ক্ষতি করতে পারে। গিয়ার লাগানোর আগে, ক্লাচটি সম্পূর্ণভাবে টিপতে হবে এবং গিয়ারটি লাগানোর পরে, এটি ধীরে ধীরে ছেড়ে দিতে হবে।
গিয়ার নির্বাচনে ভুল হচ্ছে কি না দেখুন
গতি অনুযায়ী সঠিক গিয়ার সিলেক্ট করতে হবে। খুব কম আরপিএম-এ উচ্চ গিয়ারে স্থানান্তরিত হলে ইঞ্জিনের উপর চাপ পড়ে এবং মাইলেজ হ্রাস পায়। খুব বেশি আরপিএম-এ নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তরিত হলে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় এবং গাড়ি বেশি ঘষা খায়।
বুঝেশুনে গিয়ার পরিবর্তন করুন
দ্রুত গতি বাড়াতে একটি নিম্ন গিয়ারে স্থানান্তর করা উচিত। গতি কমাতে একটি উচ্চ গিয়ারে যাওয়া উচিত। একটি সমতল রাস্তায়, প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে দ্বিতীয় গিয়ার, ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে তৃতীয় গিয়ার এবং ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চতুর্থ গিয়ার ব্যবহার করা উচিত।
এছাড়া যা খেয়াল রাখবেন
>> গিয়ার পরিবর্তন করার সময় এক্সিলারেটরটি সামান্য টেপা উচিত।
>> হঠাৎ গিয়ার পরিবর্তন করা উচিত নয়।
>> ঢালু রাস্তায় কম গিয়ারে গাড়ি চালাতে হবে।
>> সঠিক বায়ুচাপ সহ টায়ার ব্যবহার করতে হবে।
>> লাল আলোতে নিরপেক্ষ গিয়ারে স্থানান্তর করতে হবে।
>> নিয়মিত বাইক সার্ভিসিং করান।
>> সব সময় পরিষ্কার রাখুন।
>> ভালো পেট্রোল বা তেল ব্যবহার করুন।
সূত্র: নিউজ ১৮
কেএসকে/জেআইএম