ইউটিউব ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউ হলে কত আয় হয়?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫৮ এএম, ১৩ মে ২০২৪
ইউটিউব ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউ হলে কত আয় হয়?

প্রযুক্তির কল্যাণে পুরো বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। ঘরে বসেই হাতে থাকা ফোনে সব খবর পাচ্ছেন, দূর-দুরান্তে যোগাযোগ করতে পারছেন। যে কোনো দেশের নাটক সিনেমা স্মার্টফোনেই দেখে নিতে পারছেন। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব।

সারাক্ষণ কোনো না কোনো সিরিজ, নাটক, সিনেমা বা গানে বিনোদন নিচ্ছেন ইউটিউবে। আবার অনেকে এই সময়কে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব থেকে আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। তবে ইউটিউবে কত ভিউ হলে কত আয় হয়, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই। অনেক ভিডিওতে দেখবেন ১ মিলিয়নের বেশি ভিউ থাকে। জানেন কি, ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউ হলে কত আয় হয়?

ইউটিউবে কন্টেন্ট পোস্ট করে ভালো অর্থ উপার্জন শুরু করতে চাইলে ভিডিও উপার্জন সম্পর্কিত তথ্যগুলো সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া উচিত। ইউটিউব ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউকে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হয়। প্রথম দিকে ব্যবহারকারীর ভিডিও যদি এত ভিউ পায়, তাহলে তিনি কত টাকা আয় করতে পারবেন। সেটাই জেনে নেওয়া যাক।

মূলত কোনো একটি ভিডিওর ভিউ অন্তত এক হাজার হলে তবেই তা থেকে টাকা পাওয়া যায়। অর্থাৎ আপনার ভিডিওটি অন্তত এক হাজার জন দেখলে তবেই সেই ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনার চ্যানেলটিকে অবশ্যই ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলের কোনো ভিডিওর এক হাজার ভিউ হলে সেই ভিডিও থেকে ১-২৫ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৭- ২ হাজার ৬০০ টাকা আয় করা সম্ভব। তবে ভিডিওটির ভিউ ১ লাখ হলে আয় হবে আরও বেশি। তখন হাজার ডলার পর্যন্ত আয় হবে এক ভিডিও থেকে।

আসল কথা হচ্ছে একেক জন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের আয় একেক রকম। ১ মিলিয়ন ভিউ হলে সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কত আয় হবে তা নির্ভর করবে তার চ্যানেলের পূর্ববর্তী হিস্ট্রির উপর। অর্থাৎ মনিটাইজেশন, বিজ্ঞাপন, চ্যানেলে কোনো স্ট্রাইক আছে কি না, কন্টেন্টের ওয়াচ সংখ্যা ইত্যাদি।

এছাড়া ইউটিউবের ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে কত উপার্জন করা যাবে, তা কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিপিএম। অ্যাডভার্টাইজিং রেট প্রত্যেক ১০০০ ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতারা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন। সিপিএম বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন-ইউটিউবারের দর্শকরা কোথা থেকে ভিডিও দেখছেন, ভিডিওর বিষয়, অ্যাড ফরম্যাট বা বিজ্ঞাপনের বিন্যাস এবং অ্যাডভার্টাইজার কন্টেন্ট।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, ক্লিক-থ্রু রেট বা সিটিআর। ভিডিওতে দর্শানো বিজ্ঞাপনগুলোর উপর ক্লিক করা দর্শকদের শতাংশ এটি। সিটিআর যত বেশি হবে, তত বেশি টাকা আয় হবে। সিপিএম এবং সিটিআর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। সাধারণত উন্নত দেশগুলোতে সিপিএম এবং সিটিআর বেশি হয়, যার ফলে আয়ও বেশি হয়।

ভিডিওর বিষয়বস্তুও এক্ষেত্রে অনেক বড় ব্যাপার। ফিন্যান্স এবং টেকনোলজি বা প্রযুক্তির মতো কিছু বিষয়ের উচ্চতর সিপিএম এবং সিটিআর থাকে। যার ফলে আয়ও হয় বেশি। ভিডিওগুলো যত লম্বা হবে, তাতে আরও বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে। ফলে উপার্জনও হয় বেশি।

ভিউয়াররা যদি ইউটিউব প্রিমিয়ামের সদস্য হন, তাহলে তারা যে ভিডিওগুলো দেখেন, সেগুলো মানিটাইজ করা যেতে পারে। ব্র্যান্ড ডিল এবং স্পনসরশিপ কিন্তু অনেক প্রভাব ফেলে এক্ষেত্রে। নিজের ভিডিওগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড অন্তর্ভুক্ত করে অথবা স্পনসর্ড কন্টেন্ট তৈরি করেও উপার্জন করা যেতে পারে।

সূত্র: লাইভমিন্ট

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।