কোন গতিতে ফ্যান চালালে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে?
গরমে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত তখন ফ্যানের বাতাস আমাদের প্রাণ জুড়ায়। তাই তো ঘরের সিলিং ফ্যানের বাতাস ঠান্ডা হওয়াটা খুবই জরুরি। যদিও কুলার আর এসি অবশ্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু সিলিং ফ্যানের প্রয়োজনীয়তায় এতটুকু ভাটা পড়েনি। প্রতিটি বাড়ির ঘরেই সিলিং ফ্যানের উপস্থিতি আছেই।
গরমের সময় বলতে গেলে সারাক্ষণই ঘরে ফ্যান চলছে। এতে মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল দেখে মাথায় হাত পড়তে পারে। অনেকেই মনে করেন ফ্যানের গতি কমে গেলে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে। এজন্য রেগুলেটর ৫ এর পরিবর্তে ৪ নম্বরে রেখে ফ্যান চালানোর কথা বলা হয় অনেক সময়। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
আরও পড়ুন
একটি ফ্যান কতটা বিদ্যুৎ খরচ করবে তা নির্ভর করে তার গতির উপর। কিন্তু আপনি কি জানেন ২ বা ৩ নম্বর ফ্যান চালালে কত বিদ্যুৎ খরচ হয় এবং একই ফ্যান ৪ বা ৫ নম্বরে চালালে কত বিদ্যুৎ খরচ হবে? প্রশ্ন হল, কম সংখ্যায় ফ্যান চালালে বিদ্যুৎ বিল কি কমে যায় আদতে? চলুন এ সম্পর্কে বিস্তারিত বাস্তব জেনে নেওয়া যাক।
মনে রাখবেন, যে ফ্যানগুলোর সঙ্গে একটি রেগুলেটর এমন থাকে যা ভোল্টেজ হ্রাস করে গতি নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলো কিন্তু কোনোভাবেই বিদ্যুতের খরচ কমায় না। রেগুলেটর ভোল্টেজ কমিয়ে দেয় যাতে আপনার ফ্যান কম শক্তি খরচ করে কিন্তু এটি কোনো ভাবেই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে না।
নিয়ন্ত্রক শুধু একটি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। অতএব, আপনি যদি মনে করেন যে ২ বা ৩ নম্বরে ফ্যান চালালে কম বিদ্যুৎ খরচ হবে, তবে তা মোটেও এক্ষেত্রে সত্যি নয়। এটি ৫ নম্বর গতির সমান বিদ্যুৎ খরচ করবে।
রেগুলেটর যে কোনো ফ্যানেরই গতি নিয়ন্ত্রণ করে। এবার এই রেগুলেটরটি কেমন তার ওপর নির্ভর করছে বেশ কয়েকটি বিষয়। বাজারে দুই ধরনের রেগুলেটর পাওয়া যায়। একটি নিয়ন্ত্রক বা রেগুলেটর ফ্যানের গতির পাশাপাশি এর বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণ করে।
বলা হয় এই ধরনের রেগুলেটর থাকলে ফ্যানের গতি কম রাখলে বিদ্যুৎ বিল কমে আসবে। অন্যদিকে অন্য বেশ কিছু ধরনের রেগুলেটরের ক্ষেত্রে কিন্তু কোনো বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় না। অর্থাৎ সেই ক্ষেত্রে আপনি ফ্যানের স্পিড কম রাখুন বা ফ্যানের স্পিড বাড়ান, এতে পাওয়ার বিদ্যুৎ খরচ প্রভাবিত হয় না।
ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো বিশেষ ধরনের নিয়ন্ত্রক, যা বিদ্যুৎ খরচ নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এই রেগুলেটরগুলোর আকার সাধারণ রেগুলেটরের চেয়ে বড়।
এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে একান্তই চাইলে কিন্তু সেই ব্যবহারকারীকে বাড়িতে ইলেকট্রনিক রেগুলেটর ব্যবহার করতে হবে। যদিও জেনে রাখা ভালো এই ধরনের ইলেকট্রিক রেগুলেটরগুলো সাধারণ নিয়ন্ত্রক বা রেগুলেটরের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল। ইলেকট্রনিক রেগুলেটর বাজার থেকে কিনতে পারেন। আবার ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম থেকেও কেনা যেতে পারে সহজেই।
সূত্র: ভোল্টেজ ল্যাব
কেএসকে/এএসএম