ইউটিউব সার্চে নজর রাখছে ফেসবুক

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৪ এএম, ৩০ মার্চ ২০২৪

বিশ্বের জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। সারাদিন বিভিন্ন নাটক, সিনেমা দেখে কাটাচ্ছেন। তবে জানেন কি? ইউটিউবে আপনার সার্চের হিস্ট্রিতে নজর রাখছে ফেসবুক। এমন অভিযোগই উঠেছে মেটার মালিকানাধীন সোশ্যাল সাইটটির বিরুদ্ধে।

মেটার একটি গোপন প্রোজেক্ট গোস্টবাস্টারের নাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডেরাল কোর্টে কোম্পানির বিরুদ্ধে ডেটা নজরদারির অভিযোগ করা হয়েছে। ইউজারের স্ন্যাপচ্যাট, ফেসবুক এবং অ্যামাজনে সার্চে নাকি নজর রাখছে এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়েন্ট।

ক্যালিফোর্নিয়া ফেডেরাল কোর্টে মেটার গোস্টবাস্টার প্রোজেক্টের কথা বলা হয়েছে। যা ২০১৬ সালে লঞ্চ করেছে কোম্পানি। টেক ক্রাঞ্চের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রোজেক্ট গোস্টবাস্টারের লক্ষ্য ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝা এবং প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে স্ন্যাপচ্যাটকে টক্কর দেওয়া। স্ন্যাপচ্যাটের এনক্রিপট করা ডেটা অ্যাক্সেস করার চেষ্টা করেছে ফেসবুক, এমনটা দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।

আরও পড়ুন

এছাড়া আরও অভিযোগ আছে, মেটার সিইও নাকি ডাটা সংগ্রহ পদ্ধতির জন্য স্ন্যাপচ্যাটের ইউজার বেস সম্পর্কে নজরদারির উপর জোর দিয়েছেন। এজন্য ওনাভো নামক একটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক ব্যবহার শুরু করেছিলেন ফেসবুকের ইঞ্জিনিয়াররা। স্ন্যাপচ্যাটের তুলনায় বাজারে ফেসবুকের অবস্থান উন্নত করার জন্য এই কৌশলগত নজরদারি চালিয়েছে ফেসবুক।

শুধু স্ন্যাপচ্যাট নয়, ইউটিউব এবং অ্যামাজন থেকেও ডেটা মনিটরিং করেছে ফেসবুক। উক্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ফেডেরাল কোর্টের তরফে দাবি করা হয়েছে এই গোস্টবাস্টার প্রোজেক্টে একাধিক সিনিয়র ফেসবুক এক্সিকিউটিভ-সহ 41 জন আইনজীবী জড়িত রয়েছেন।

যদিও ফেসবুকের পক্ষ থেকে প্রোজেক্ট গোস্টবাস্টার লঞ্চ করা হলেও, কোম্পানির অনেক কর্মচারী এটির বিরোধিতাও করেছেন। এনক্রিপ্ট করা তথ্য ট্র্যাক করা যে গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা সে বিষয়ে উদ্বেগ করেছেন তারা। এমনকি কোম্পানির তৎকালীন ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ারও প্রোজেক্টের বৈধতা নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়া এই প্রোজেক্টের পর ফেসবুকের গোপনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন

সূত্র: লাইভমিন্ট

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।