একটি স্মার্টফোনের গড় আয়ু কত?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:২৮ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৪

স্মার্টফোন ছাড়া এখন আমাদের এক মুহূর্তও চলে না। স্মার্টফোন না থাকলে এখন অনেক মানুষই চোখে অন্ধকার দেখবেন। হাতের ফোনটা না থাকলে অনেকের কাছে জগৎ অন্ধকার। স্মার্টফোন আজকাল প্রায় সবার জীবনে অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। কারণ সারাটা দিনের অনেক কাজই এখন নির্ভর করে ফোনের উপর।

প্রতি সপ্তাহেই একের পর এক নতুন স্মার্টফোন মডেল লঞ্চ করছে কোম্পানিগুলো। আজ কেনা মডেলটিও কাল পুরোনো হয়ে যায়। তবে একটা ব্যাপার কখনো খেয়াল করেছেন কী? যে একটি ফোন কতদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে? স্মার্টফোনের গড় আয়ু কত? অনেকেই ৩-৪ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে একই স্মার্টফোন মডেল ব্যবহার করছেন। আর সেসব ফোন চলছেও দিব্যি।

স্মার্টফোন মানে ইলেকট্রনিক ডিভাইস। তার ব্যাটারিতে একাধিক কেমিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয়। সেগুলোর মেয়াদ একটা সময়ের পর শেষ হয়ে যায়। তবে স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নেই। এতে প্রয়োজন মতো ব্যাটারি বা অন্যান্য পার্টস পরিবর্তন করে ব্যবহার করা যেতে পারে। অর্থাৎ স্মার্টফোনের এক্সপায়ারি ডেট বলে কিছু নেই।

আরও পড়ুন

অনেকেই ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। তারা কোনো রকমের রিপ্লেসমেন্ট ছাড়াই বহু বছর ধরে নির্দ্বিধায় নিজেদের স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের ফোনে যে চিপ এবং ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয় তা বছরের পর বছর চলতে থাকে।

বর্তমানে স্মার্টফোন নির্মাতারা ২-৩ বছর পর স্মার্টফোনের সফটওয়্যার আপডেট করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে পুরোনো স্মার্টফোন আর ব্যবহারযোগ্য থাকে না। অনেকক্ষেত্রে কোম্পানি দুই থেকে তিন বছর পর ওই নির্দিষ্ট মডেলের অ্যাকসেসরিজ তৈরিও বন্ধ করে দেয়।

এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে তাহলে স্মার্টফোন কখন পরিবর্তন করা উচিত? আসলে ফোন ব্যবহারকারীর উপর নির্ভর করছে এই প্রশ্নের উত্তর। অনেকেই ঘন ঘন নিজেদের স্মার্টফোন পরিবর্তন করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যতক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহারযোগ্য, ততক্ষণ তা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রয়োজনে খারাপ ব্যাটারি এবং স্ক্রিন পরিবর্তন করেও ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন

সূত্র: মেক ইউজ অব

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।