গরমে এসির তাপমাত্রা কখন কত রাখবেন?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫০ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৪

শীতের বিদায় এবং গরমের আগমন। সূর্যের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া জানান দিচ্ছে তারই। তবে এখনো এসি চালিয়ে রাখার মতো গরম না হলেও খুব শিগগির এসি ব্যবহার শুরু করবেন। তবে গত তিন চার মাস এসি বন্ধ থাকায় বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।

তবে এখন দিনে হালকা গরম থাকলেও রাতে বেশ শীত থাকে। এমন সময় এবং গরমে কখন ঘরের এসির তাপমাত্রা কত রাখবেন অনেকেই ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না। এসির মাত্রা ঠিক না থাকলে বিদ্যুৎ বিলেও প্রভাব পরে ব্যাপকভাবে। আবার ব্যাঘাত হয় ঘুমেরও। চলুন জেনে নেওয়া যাক গরমে এসির তাপমাত্রা কখন কত রাখবেন-

প্রচণ্ড গরমে ভাল ভাবে ঘুমানোর জন্য মানুষ ঘরে এয়ার কন্ডিশনার লাগায়, কিন্তু কিছু মানুষ বুঝতে পারে না কী ভাবে এসির তাপমাত্রা বজায় রাখতে হয় যাতে স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব না পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ঘরে এসির তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখলে তারা শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। শিশুরা খুব গরমের পাশাপাশি ঠান্ডাও অনুভব করে, এমন অবস্থায় শিশুদের ঘরের তাপমাত্রা যদি ২১ ডিগ্রি হয়, তাহলে তারা আরামে ঘুমায়।

আরও পড়ুন

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, ঘরে এসির আদর্শ তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া উচিত। এই তাপমাত্রায় ঘুম ভালো ও আরামদায়ক ঘুম হয়। এসির তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখলে অতিরিক্ত ঠান্ডায় অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

বয়স্কদের জন্য, ঘরে এসির আদর্শ তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়া উচিত। বয়স্ক ব্যক্তিরা তুলনামূলকভাবে বেশি ঠান্ডা অনুভব করেন। তাই তাদের ঘরের তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে।

এসি চালানোর সময় খেয়াল রাখবেন যাতে আপনি অবশ্যই এতে একটি টাইমার সেট করে নেন। নাহয় দেখা যাবে সকালে অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণেও স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে।

এসির কারণে সকালের দিকে ঘর খুবই ঠান্ডা হয়ে যায়, এমন পরিস্থিতিতে আপনার এসির তাপমাত্রা ঘর অনুযায়ী সেট করেই ঘুমানো উচিত। টাইমার দিয়ে রাখলে এটি সুবিধেজনক হয় ,অহেতুক বেশি ঠান্ডায় ঘুম ভেঙে যাওয়ার ভয় ও থাকে না।

আরও পড়ুন

সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান টাইমস

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।