হ্যাকারদের বানানো ফিশিং লিঙ্ক চিনবেন যেভাবে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, স্মার্টফোন, কম্পিউটার কিছুই বাদ নেই। হ্যাকারদের তৎপরতা সব জায়গায়। বিভিন্ন ফিশিং অ্যাপের মাধ্যমে তারা প্রতারণা করে।

বিভিন্ন ব্যাংক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, জি-মেইল, বিভিন্ন সংস্থার লগইন পেইজের মতো ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্যবহারকারীদের কাছে মেসেজ পাঠায়। সেসব ওয়েবসাইটে ঢুকলেই ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারে ম্যাওয়্যার ঢুকে যাচ্ছে।

দেখে নিন কীভাবে চিনবেন হ্যাকারদের বানানো ফিশিং লিঙ্ক-

>> যেই ই-মেইল অ্যাড্রেস থেকে এসেছে সেই ই-মেইল বা মেসেজ এসেছে সেটিকে যাচাই করুন। ওয়েবসাইটের ডোমেইন চেক করুন। ভালোভাবে খেয়াল করুন সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএলটিতে এইচটিটিপি আছে কি না। সেই সঙ্গে ইউআরএলের বানান ঠিক আছে কি না। ভুয়া বা নকল ওয়েবসাইটের ইউআরএলে সাধারণত এই ভুলগুলো থাকে।

>> ভুয়া বা ভুল তথ্য শনাক্তকরণের জন্য প্রথমেই দেখবেন, হোয়াটসঅ্যাপে, ফেসবুকে বা যে কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা মেসেজটির পাশে ‘ফরওয়ার্ড’র চিহ্নটি আছে কি না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভুয়া মেসেজগুলো ফরওয়ার্ড হয়ে বিভিন্ন মানুষের মেসেজে আসে।

আরও পড়ুন: ক্ষতিকর ৩ অ্যাপ রয়েছে ৬০ কোটি ব্যবহারকারীর ফোনে

>> ফরোয়ার্ড করা মেসেজগুলো যে সেন্ড করেন, তিনি কিন্তু লিখেন না। ওই ব্যক্তিও হয়তো অন্য কারও কাছ থেকে ফরওয়ার্ডকৃত মেসেজটি পেয়েছেন। পরবর্তীতে হয়তো তিনি মেসেজটি আপনাকে পাঠিয়েছেন। তাই পরিচিতজনের কাছ থেকেও যদি এমন ফরওয়ার্ডকৃত মেসেজ পেয়ে থাকেন, তবে তার সত্যতা জানুন আগে।

>> মেসেজের বানানগুলো খেয়াল করুন। ব্যাকরণগত ভুল থাকলে বা বানান ভুল থাকলে বুঝবেন যেটি ভুয়া লিঙ্ক।

>> অনেক সময় দেখবেন বিভিন্ন লিঙ্কে ঢোকার পর সেখানে একটি ফরমে আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর বা পাসপোর্টের নম্বর চাইতে পারে। ভুলেও এসব তথ্য কোনো পেজে যুক্ত করবেন না। এগুলো হ্যাকারদের কাজ।

আরও পড়ুন: ফোন সার্ভিস সেন্টারে দেওয়ার আগে যা অবশ্যই করবেন

>> বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মধ্যেও ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে দেয় হ্যাকাররা। সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে বা স্কিপ অ্যাডে ক্লিক করলেও আপনি হ্যাকারের ফাঁদে পা দিয়ে ফেলতে পারেন।

হ্যাকারদের থেকে বাঁচতে আপনার কোনো নম্বর বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট, মেইলে আসা অপরিচিত কোনো লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। আপনার কোনো ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন। পাসওয়ার্ড চাইলে বা আপনার নম্বরে একটা ওটিপি এসেছে সেটি চাইলেও দেবেন না। এগুলো হ্যাকারদের কাজ। ওটিপি দিলেই কিংবা লিঙ্কে ক্লিক করলেই হ্যাকার আপনার ফোন, সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাক্সেস নিয়ে নিতে পারে।

সূত্র: গুগল সাপোর্ট

কেএসকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।