গুগলের সার্চ বারে যুক্ত হচ্ছে এআই সুবিধা

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২৩

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন সবার ঘুম উড়িয়ে দিচ্ছে। গত বছরের শেষে আসা এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি আলোচনার শীর্ষে। ওপেনএআইয়ের এই চ্যাটবট যেমন অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের জন্য হুমকি তেমনি মানুষের জন্যও। চ্যাটজিপিটির কারণে চাকরি হারাতে বসেছে হাজার হাজার পেশার মানুষ।

চ্যাটজিপির সঙ্গে টেক্কা দিতে গুগল নতুন এআই চ্যাটবট বার্ড আনার ঘোষণা দিয়েছে কিছুদিন আগেই। এবার গুগলের সার্চ বারেই যুক্ত হচ্ছে এআই। এআইয়ের কার্যক্ষমতা সম্পর্কে আশা প্রকাশ করেছেন বহু গবেষকরা। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের মতে, আগামী ৪০ বছরের ‘বিপ্লবী প্রযুক্তি’ হতে চলেছে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি।

এবার গুগলে যুক্ত হচ্ছে নতুন এআই সুবিধা। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই জানান, গুগল সার্চ ইঞ্জিনের মধ্যে এআই যুক্ত হলে আদতে এতে এআইয়েরই উন্নতি হবে। কারণ সার্চ ইঞ্জিনে যা খোঁজা হবে সেই সম্পর্কে ডেটা পেয়ে যাবে এআই। যার ফলে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে গুগলের ক্ষমতা বাড়াবে।

আরও পড়ুন: অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য গুগলের ৩ ফিচার

চ্যাটজিপিটি সার্চ ইঞ্জিন হলেও গুগলের চেয়ে হাজারগুণ উন্নত। গুগলের মতো একাধিক লিংক দিয়ে ব্যবহারকারীকে বিভ্রান্ত করে না। বরং যে কোনো বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করে চ্যাটজিপিটি। গত নভেম্বরে ওপেনএআই নিয়ে আসে নতুন চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি।

রান্না থেকে জটিল কোডের সমস্যা সমাধান, গণিত সমাধান, ভার্সিটির অ্যাসাইনমেন্ট, রিপোর্টসহ রেসিপি সব ধরনের তথ্য পাবেন এতে। চ্যাটজিপিটি রচনা লিখতে পারে, চাকরির বা ছুটির আবেদন, চুক্তিপত্র, কোনো ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা, ছোটখাটো প্রতিবেদন তৈরি করে দিতে পারে। এটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম, গান বা কবিতাও লিখে দিতে পারে ব্যবহারকারীর জন্য।

চ্যাটজিপিটির জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছিল গুগল। যে কারণে প্রথমে নতুন চ্যাটবট ‘বার্ড’ এবং পরে গুগলের সার্চ বারে যুক্ত করলো এআই সুবিধা। বোঝাই যাচ্ছে কোনোভাবেই গ্রাহক হারাতে রাজি নয় টেক জায়ান্ট গুগল। তাই তো আটঘাট বেঁধেই কাজ করছে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে।

সূত্র: লাইভমিন্ট

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।