পোষ্য কুকুরের বিরল রোগ শনাক্ত করলো চ্যাটজিপিটি
চ্যাটজিপিটি তাহলে এবার চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে চলেছে! চ্যাটজিপিটির কারণে চাকরি হারাতে বসেছে অনেক পেশার মানুষ। এরমধ্যে আছে শিক্ষক থেকে, লেখক গণমাধ্যম, ফ্রিল্যান্সাররাও। এবার চিকিৎসকদের কপালের ভাঁজ দীর্ঘ করছে চ্যাটজিপিটি।
সম্প্রতি পোষ্য কুকুরের রোগ নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছে এআই চ্যাটবটটি। যদিও এতে অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই! কারণ এরই মধ্যে চ্যাটজিপিটি তার দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছে বহুবার। একাধিক কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে সে। এবার চ্যাটজিপিটির নতুন ভার্সন জিপিটি-৪ একটি পোষ্য কুকুরের রোগ শনাক্ত করে আলোচনায় এসেছে। মূলত আলোচনায় আসার কারণ হচ্ছে, সেই রোগ নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন পশু চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: চ্যাটজিপিটি শেখাবে রান্না
কুপার নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী শেয়ার করেছেন, কীভাবে এআই চ্যাটবটটি তার পোষ্য কুকুরের প্রাণ বাঁচাতে সাহায্য করেছিল। টিক-বোর্ন রোগ ধরা পড়েছিল পোষ্য কুকুরটির। কুপারের পোষ্য প্রাণী স্যাসি প্রাথমিক চিকিৎসায় ভালোভাবে সাড়া দিচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রক্তাল্পতা আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যায়। একাধিক পশুচিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করা পরও কুকুরটির রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছিল না।
সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে কুপার তার পোষ্যের শরীরের লক্ষণগুলোকে বিশদভাবে বর্ণনা করে লেখেন জিপিটি৪-এ। তিনি এখান থেকে কী জানতে পারবেন তা তার ধারণাই ছিল না। কারণ এই চ্যাটবট যে চিকিৎসা বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে তা অনেকেই জানতেন না। তা-ও একবার চেষ্টা করে দেখছিলেন কুপার। তার এরপরই জানা যায় কুকুরটির এই বিরল রোগ সম্পর্কে।
এরপর স্যাসির শরীরের ব্লাডওয়ার্ক এবং লক্ষণগুলো ইমিউন-মিডিয়েটেড হেমোলাইটিক অ্যানিমিয়া নির্দেশ করতে পারে বলে জানায় চ্যাটবটটি। চ্যাটজিপিটির দেওয়া এই তথ্য অন্য একজন পশুচিকিৎসকে জানান কুপার। তা দেখে তিনি যথাযথ চিকিৎসাও শুরু করে দেন।
সূত্র: ইকোনোমিক টাইমস
কেএসকে/এএসএম