পাঠান সিনেমায় ব্যবহার হয় যে স্যাটেলাইট ফোন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০১ এএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

শাহরুখের পাঠান সিনেমায় বুঁদ হয়ে আছেন সবাই। শাহরুখের নতুন লুক নজর কেড়েছে ভক্তদের। নিশ্চয়ই এতদিনে পাঠান সিনেমা দেখে ফেলেছেন। এই সিনেমার একেবারে শুরুতেই একটি ফোন দেখানো হয়েছে, খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই? অনেকেই এই ফোনের ব্যাপারে জানতে সবাই কৌতূহলী হয়ে ওঠে।

এটি একটি স্যাটেলাইট ফোন। যেটি সাধারণ কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। মূলত নিরাপত্তাজনিত কারণেই সাধারণের জন্য স্যাটেলাইট ফোন উপলব্ধ হয় না। এগুলো পুলিশ, রেলওয়ে, সেনাবাহিনীর মতো সরকারি সংস্থাগুলোতে ব্যবহার হয়ে থাকে। একান্তই যদি কেউ স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করতে চান, তাহলে তাকে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এটির বিশেষত্ব- স্যাটেলাইট ফোন হলো এমনই এক ধরনের ফোন, যেগুলো ব্যবহার করতে কোনো সিম দরকার নেই। মোবাইল নেটওয়ার্কের সাহায্য ছাড়াই এগুলো কাজ করে। এই ধরনের ফোনগুলো সরাসরি স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযোগ করে কাজ করে। স্যাটেলাইট থেকেই এগুলো সংকেত গ্রহণ করে। সেই স্যাটেলাইট ব্যবহার করে ল্যান্ডলাইন, সেলুলার এবং অন্যান্য স্যাটেলাইট ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত করে।

আরও পড়ুন: চোখের ক্ষতি এড়াতে স্মার্টফোন যেভাবে ব্যবহার করবেন

মোবাইল নেটওয়ার্ক নেই, এমন সব জায়গায় ব্যাপক ভাবে কার্যকর হতে পারে স্যাটেলাইট ফোনগুলো। বিশেষ করে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা, যারা দেশের কাজে নিয়োজিত তারা এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় যখন মোবাইল নেটওয়ার্কের সমস্যা দেখা দেয় তখন স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহৃত হয়। মূলত পৃথিবীর কক্ষপথে সর্বদা প্রদক্ষিণ করে চলেছে একটি স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ। স্যাটেলাইট ফোনগুলোর সিগন্যাল প্রথমে যায় ওইসব উপগ্রহে। তারপর তার সংকেত আসে রিসিভারে। সেটা ব্যবহার করেই স্যাটেলাইট ফোনগুলো থেকে কথা বলা সম্ভব হয়।

একেকটি স্যাটেলাইট ফোনের দাম ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার মার্কিন ডলারের মধ্যে হয়। ভারতে স্যাটেলাইট ফোনের দাম শুরু হয় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা থেকে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। তবে বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের জন্য স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহারের অনুমতি নেই।

সূত্র: নিউজ ডেজ এক্সপ্রেস

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।