টিকটকে জাদু দেখিয়ে বিশ্বরেকর্ড

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৭ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২

বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক। চীনা অ্যাপটি বিশ্বের অনেক দেশে নিষিদ্ধ হলেও জনপ্রিয়তা কমেনি একটুও। বরং বেড়েই চলেছে প্রতিনিয়ত। সেই সঙ্গে বাড়ছে ব্যবহারকারীর সংখ্যা। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে অর্থ আয় করছেন হাজার হাজার ব্যবহারকারী।

একেকজন একেক ধরনের কনটেন্ট ক্রিয়েট করে জনপ্রিয় হচ্ছেন। তবে এবার টিকটকে জাদুর ভিডিও তৈরি করে অন্য নজির গড়লেন ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা জ্যাক কিং। টিকটকে সবচেয়ে বেশি ভিউজের রেকর্ড জ্যাক কিংয়ের। ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত তার ভিডিওর ভিউ সংখ্যা দাঁড়ায় ২.২ বিলিয়ন। যা টিকটকের সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিও। এজন্য সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের স্বীকৃতিও মিলেছে জ্যাকের।

জ্যাক পেশায় একজন জাদুকর। ছোটবেলায় দাদার কাছ থেকে জাদুর কলা কৌশল রপ্ত করেছিলেন। তার দাদা যখন মঞ্চে জাদু দেখাতেন তখন তাকেও সঙ্গে রাখতেন। তবে লাজুক প্রকৃতির জ্যাক কিছুই করতে পারতেন না। তাই ঘরে বসেই জাদু অনুশীলন করতেন। ২০০৮ সালে ইউটিউব চ্যানেল খোলেন এবং সেখানেই তার ভিডিওগুলো আপলোড করতেন। তার অসাধারণ সব জাদু অল্প দিনেই জনপ্রিয়তা পায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

টিকটকে জাদু দেখিয়ে বিশ্বরেকর্ড

২০১৯ সালে যুক্ত হন হালের ট্রেন্ড টিকটকে। নিজের কনটেন্টগুলো শেয়ার করতে থাকেন এই প্ল্যাটফর্মে। কম সময়েই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তার ভিডিওগুলো। কখনো ঝাড়ুর উপর বসে ভেসে বেড়াচ্ছেন, কখনো বা আইফেল টাওয়ারটিকে পকেটে ভরে বাড়ি নিয়ে আসছেন। এমন সব জাদু দেখে আর অনুসারীরাও মুগ্ধ হন বারবার।

টিকটকে জাদু দেখিয়ে বিশ্বরেকর্ড

জ্যাক শখের জাদুকর, পড়াশোনা করেছেন সিনেমা এবং মিডিয়া আর্ট বিভাগে বায়োলা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায়ই ইউটিউবে তার ভিডিও জনপ্রিয় হতে থাকে। টিকটকে ২.২ বিনিয়ন ভিউ পাওয়া ভিডিওটি ছিল ঝাড়ুর উপর উড়ে বেড়ানো। তবে জ্যাকের সবচেয়ে পছন্দের ভিডিওটি হচ্ছে তার ছেলেদের সঙ্গে করা। ঘরের মধ্যে কম্বল দিয়ে ঘর তৈরি করেন, এরপর সেখান থেকে বেড়িয়ে যান কোনো পাহাড়ের উপর।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।