নিলামে স্টিভ জবসের জুতা, দাম শুনলে চমকে যাবেন!

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১৭ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২২

অ্যাপলের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসকে চেনেন না এমন মানুষ কমই আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের একজন উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তি উদ্ভাবক ছিলেন তিনি। স্টিভ জবসকে পার্সোনাল কম্পিউটার বিপ্লবের পথিকৃৎ বলা হয়। তিনি স্টিভ ওজনিয়াক এবং রোনাল্ড ওয়েনের সঙ্গে ‘অ্যাপল কম্পিউটার’ প্রতিষ্ঠা করেন। ২০১১ সালে মারা যান স্টিভ।

অ্যাপল, আইফোনের কথা এলেই স্টিভ জবসের নাম সামনে আসে। তবে এবার অন্য কারণে স্টিভের কথা স্মরণ করছে বিশ্ব। সম্প্রতি স্টিভ জবসের ব্যবহৃত একজোড়া জুতা নিলামে উঠেছে। নিলাম কোম্পানি জুলিয়ান অকশন ৫০ বছরের পুরোনো স্টিভ জবসের এক জোড়া বাদামি চামড়ার বার্কেনস্টক অ্যারিজনা স্যান্ডেল নিলামে তুলেছে।

এ স্যান্ডেল বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। বিপুল দামে নিলামে এক জোড়া চটি বিক্রি হওয়ার কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। দাম হবে না কেন! এটি যে পরেছেন অ্যাপলের কর্ণধার।

নিলাম সংস্থা জানিয়েছে, জবস ১৯৭০ এবং ১৯৮০-এর দশকে এ চটি পরতেন। বার্কেনস্টক স্যান্ডেলের এ চটি আগে স্টিভ জবসের ম্যানেজার মার্ক শেফের মালিকানাধীন ছিল। নিলাম সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, স্টিভ জবস অ্যাপলের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে স্যান্ডেলটি পরেছেন। দীর্ঘদিন ব্যবহারে জুতার উপর জবসের পায়ের ছাপও পড়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালে ইতালির মিলানোতে এক প্রদর্শনীতে এ জুতা জোড়া দেখা গিয়েছিল। এ ছাড়াও জার্মানিতে বার্কেনস্টক অ্যারিজনার সদর দপ্তরেও প্রদর্শিত হয়েছিল এ জুতা। এ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের একাধিক দেশে এ জুতা প্রদর্শিত হয়েছে একাধিকবার।

এক সাক্ষাৎকারে জবসের প্রাক্তন স্ত্রী জানিয়েছেন, ‘নিজের সাধারণ জীবনযাপনের প্রতীক ছিল এ স্যান্ডেল। এটাই তার ইউনিফর্ম ছিল। ফলে সকালে কী পরব, তা নিয়ে ভাবতে হতো না জবসকে। অন্যের থেকে আলাদা হওয়ার জন্য নিজে কিছুই কিনতেন না। তিনি যা পরছেন, তা কতটা আরামদায়ক সে বিষয়েই নজর থাকত। বার্কেনস্টকের এ জুতা পায়ে তাকে কখনোই একজন শিল্পপতি মনে হয় না। ফলে স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারতেন স্টিভ।’

সূত্র: লাইভমিন্ট

কেএসকে/এসইউ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।