মোবাইল ফোনের জ্যামিং কেন হয়?

শেখ আনোয়ার
শেখ আনোয়ার শেখ আনোয়ার , বিজ্ঞান লেখক ও গবেষক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২

ডিজিটাল বাংলাদেশে এখন ডিজিটাল স্মার্ট প্রযুক্তি, অ্যান্ড্রয়েড-গ্যাজেটের জয়-জয়কার যুগ চলছে। বিশ্বায়নের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে স্মার্টফোন অ্যান্ড্রয়েড না হলে চলেই না। মোবাইল ফোন এখন সবখানে। ওদিকে নেটওয়ার্ক জগতে ৫জি আসছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি স্মার্টফোন, মোবাইল ফোন উচ্চবিত্ত থেকে শুরু করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ, সবাই ব্যবহার করেন। শহর থেকে নগরে, নগর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে মোবাইল ফোন।

মোবাইল ফোন শুধু এখন কথা বলার যন্ত্র নয়। এটি এখন সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের একটি অত্যাবশ্যকীয় অনুষঙ্গ। মোবাইল ফোন কারো কাছে প্রেম, কারো কাছে জীবন, জীবিকা ব্যবসা। শেখ হাসিনা সরকারের বাংলাদেশ ডিজিটাল হওয়ায় এ সময়ে অ্যান্ড্রয়েড, মোবাইল ফোনের প্রসার ঘটেছে খুব দ্রুতবেগে। হু হু করে বাড়ছে ব্যবহারকারী। সব গ্রাহক চায় যে কোনো সময় যে কোনো স্থান থেকে নির্বিঘ্নে কথা বলতে এবং স্পষ্টভাবে শুনতে। আর এজন্য নেটওয়ার্ক বাড়ানোর দৌঁড়ে ব্যস্ত সব অপারেটর।

জ্যামিং কি?
সব মোবাইল অপারেটরই চায় দেশের সব জেলা উপজেলায় নিজের নেটওয়ার্ক মজবুত করতে যাতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে গ্রাহক হারাতে না হয়। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন গ্রাহক বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন বেইজ স্টেশনের কাছাকাছি থেকেও পাচ্ছেন না নেটওয়ার্ক। কথা বলতে পারছেন না স্বাচ্ছন্দ্যে। কল ড্রপ করছে। সব মোবাইল অপারেটরই এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি- জিএসএম, অত্যাধুনিক জিপিআরএস, এজ্সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। জিএসএম প্রযুক্তি হচ্ছে সম্মিলিত একটি চ্যানেল অ্যাকসেস পদ্ধতি। বাংলাদেশে টেলিটক, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল অপারেটর এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এ প্রযুক্তি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল নেটওয়ার্ক যা ২১৮টি দেশে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তারপরও প্রযুক্তির প্রতিবন্ধকতা রয়েই গেছে। দূর্ভাগ্যজনকভাবে, মিলনায়তন, হলরুম, রেস্টুরেন্ট, সিনেমা হল, কনসার্টের মাঠ, শপিং মল, চার্চ, হসপিটাল, কারাগার, বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি স্থানে পূর্ণমাত্রায় নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। উপভোগ করে কথা বলা যায় না। কথা হলেও কথা ফেটে ফেটে যায় বা প্রতিধ্বনি হয়। আবার কখনো কখনো একদমই শোনা যায় না। এসব স্থানে অতিরিক্ত মাত্রায় মানুষ একই সঙ্গে একই সময়ে একটি মাত্র ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করার ফলে তৈরি হয় সেল ফোন ‘জ্যামিং’।

বাংলাদেশে জ্যামিং
মোবাইল ফোন জ্যামিং এবং জ্যামার ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের দেশে আগে খুব একটা শোনা যায়নি। তবে বেশ কয়েক বছর আগে নিষিদ্ধ সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) তিন সদস্যকে মোবাইল জ্যামারসহ গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সে সময় জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নজরদারি এড়াতে তারা জ্যামার ব্যবহার করতো। এছাড়াও ২০১৮ সালের এপ্রিলে রাজধানীর কাকরাইলে তাবলিগ জামাতের মারকাজ মসজিদে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রাখতে গোপনে জ্যামার বসিয়েছিলেন এক প্রকৌশলী। এলিফ্যান্ট রোডের একটি দোকান থেকে তিনি দুটি জ্যামার কেনেন। মারকাজের দক্ষিণ পাশের ভবনের তৃতীয় তলার দুটি কক্ষে সেগুলো স্থাপন করেন। পুলিশ সে সময় জানায়, ‘বড় ধরনের ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করার উদ্দেশ্যে’ এসব জ্যামার বসানো হয়েছিলো। এ নিয়ে সে সময় রমনা থানায় একটি মামলা হয়। এরপর মাঝে মধ্যেই রাজধানীতে মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক বিঘ্ন সৃষ্টিকারী অবৈধ জ্যামার, বুস্টার ও রিপিটার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযানের খবর শোনা যায়। গ্রেফতারও করা হয় তাদের।

জ্যামার বুস্টার ও রিপিটার
তারপরও হুটহাট কল ড্রপ ও নেটওয়ার্ক না পাওয়ার সমস্যা কোনোভাবেই দূর হচ্ছে না। তৈরি হচ্ছে নিরাপত্তা সংকটও। সাম্প্রতিক গবেষণার তথ্য দিয়ে অপারেটররা বলছেন, যত্রতত্র জ্যামার, রিপিটার ও বুস্টারের ব্যবহার বাড়ছে। রাজধানীতে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে যত্রতত্র জ্যামার, রিপিটার ও বুস্টারের ব্যবহার হচ্ছে। ফলে মোবাইল সেবার মান দিনের পর দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। যে কারণে নেটওয়ার্ক সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছে অপারেটররা। এসব জ্যামার, রিপিটার ও বুস্টার ব্যবহারে বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকি। শুধু তাই নয়, এসব যন্ত্রের ব্যবহারে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মোবাইল সেবার মান নিয়ে গ্রাহক অভিযোগ, অসন্তোষ রয়েছে। সাধারণ গ্রাহকের জন্য মোবাইল ফোন অপারেটরদের সদিচ্ছা ও তরঙ্গ সংকটকে দায়ী করে থাকে।

সম্প্রতি ঘন ঘন কল ড্রপ বা নেটওয়ার্ক না পাওয়ার ঘটনায় অপারেটররা মাঠ পর্যায়ে গবেষণা করেছেন। প্রকাশিত গবেষণার ফলাফল যথেষ্ট উদ্বেগের। গবেষকরা লক্ষ্য করেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ জ্যামার, বুস্টার ও রিপিটার অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে। বুঝে না বুঝে অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এসব প্রযুক্তি কিনে ব্যবহার করছে। অপরাধীরা ফোন আলাপ গোপন রাখতেও মোবাইল জ্যামার ব্যবহার করছে। অপারেটররা স্বীকার করেন, ব্যক্তি উদ্যোগে অবৈধভাবে স্থাপিত এসব প্রযুক্তির কারণে অসংখ্য গ্রাহক ভোগান্তির খবর পাওয়া যায়।

জ্যামার যেভাবে কাজ করে
অনেকেই জানেন, আমাদের হাতের মোবাইল ফোনগুলো একটি নির্দিষ্ট প্রোটোকল ও ফ্রিকোয়েন্সিতে নিকটবর্তী টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সির সঙ্গে একটা কোড পাঠায়। টাওয়ার সেই কোড ডিকোড এবং ভেরিফাই করে ফোনকে ফিরতি কনফারমেশন বার্তা দেয়। অনুমতি পেলে মোবাইল যোগাযোগ করার জন্য পুরোদমে প্রস্তুত হয়। কিন্তু ধরা যাক, ফোনে কথা বলতে বলতে যদি এমন কোথাও চলে যান যেখানে আশেপাশে জ্যামার লাগানো আছে। তাহলে দেখবেন হুট করে কল কেটে গেছে। আর ফোনে লেখা উঠবে নো সিগন্যাল! কেন এমনটা হয়? এর কারণ সহজভাবে বলতে গেলে-জ্যামার আমাদের মোবাইল নকল করে প্রায় একই ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও সিগন্যাল তৈরি করে। যার ফলে মোবাইলের সঙ্গে টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিজ্ঞান একে বলে ‘ডিনাইয়েল অব সার্ভিস অ্যাটাক’। দুটি ওয়েভ পথ চলতে চলতে কোনো এক জায়গায় এদের ক্রেস্ট এবং ট্রফ মিলে যায় ফলাফল সংযোগ বিচ্ছিন্ন।

টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটায় কখন?
বিজ্ঞানীরা বলেন, সেল ফোন মূলত একটা দ্বি-মুখি রেডিও। তাই অন্য সাধারণ রেডিওর মতো এর সিগন্যালও বাধাগ্রস্ত বা জ্যামও হতে পারে। অন্য যে কোনো ধরনের রেডিও কমিউনিকেশনে জ্যামিং এর মতো সেলফোনে বিভেদ বা বিঘ্ন ঘটে থাকে। একটা সেল ফোন টাওয়ার বা বেইজ স্টেশনের চারপাশে থাকে নেটওয়ার্ক ফ্রিকোয়েন্সি। যার মাধ্যমে সেলফোন যোগাযোগ রক্ষা করে। একটা শহর কয়েকটা অংশ বা সেলে বিভক্ত করে বসানো হয় সেলফোন টাওয়ার। ব্যবহারকারী এক রাস্তা থেকে অন্য রাস্তায় অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে সিগন্যাল এক টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে স্থানান্তরিত হয়। গবেষকরা বলেন, সেলফোন জ্যামিং আসলে অতিরিক্ত ব্যবহারকারীর ফলে হতে পারে। আবার বিশেষ ধরনের জ্যামিং ডিভাইস দিয়েও জ্যামিং করা যায়। জ্যামিং ডিভাইস মূলত ফোন ও ফোন বেইজ স্টেশন। টাওয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ বিঘ্ন ঘটাতে সেলফোনের মতো রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ট্রান্সমিট করে থাকে। একে বলা হয় অফ সার্ভিস অ্যাটাক। সেলফোন ব্যবহারকারীদের তার রেঞ্জের মধ্যে রেডিও স্পেকট্রাম প্রবাহে বাধা প্রদান করে এসব জ্যামিং ডিভাইস।

কীভাবে কাজ করে জ্যামিং ডিভাইস?
জ্যামিং ডিভাইস একই ফ্রিকোয়েন্সিতে বেশি ক্ষমতার সিগন্যাল পাঠায় ফলে দুটি সিগন্যাল ধাক্কা খায় এবং একে অপরকে বন্ধ করে দেয়। সেলফোন সেট তৈরিই করা হয় নিচু মানের বিঘ্ন ঘটলে যাতে আরও শক্তিযুক্ত করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষমতা বাড়াতে পারে এমনভাবে। তাই জ্যামিং ডিভাইসও তা পরখ করে ফোন থেকে আরও বেশি ক্ষমতার সিগন্যাল পাঠায়। সেলফোনগুলো ফুল ডুপ্লেক্স ডিভাইস হয়ে যায়। তার মানে হলো- এটা দুটি ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে। কিন্তু জ্যামার শুধু একটি ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করতে পারে। যা উভয় ফ্রিকোয়েন্সির বস্তুকে প্রভাব ফেলে। সেলফোন জ্যাম করার জন্য প্রয়োজন শুধু একটি ডিভাইস। যা সঠিক ফ্রিকোয়েন্সি ব্রডকাস্ট করে। যদিও ভিন্ন ভিন্ন সেলুলার সিস্টেম ভিন্ন ভিন্ন সিগনালে চলে। তারপরও সব সেলফোন নেটওয়ার্কই রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করে। তাই এটা সবগুলোকেই বিঘ্ন ঘটাতে পারে। ডিজিটাল সেলুলার ফোন জিএসএম নির্ভর। এই সিস্টেমে থাকে ৯০০/১৮০০ বা ১৯০০ বা ততোধিক মেগাহার্জ ব্যান্ড। এএমপিএস, সিডিএমএ, টিভিএমএ, জিএসএম পিসিএস, ডিসিএস, আইডিইন এবং নেক্সটেল সিস্টেমে যে কোনো ফ্রিকোয়েন্সিতে জ্যামার জ্যামিং করতে সক্ষম। পাহাড়, উঁচুতলা ভবনের দেয়ালেও জ্যামিং সিগন্যাল ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের পরিবেশ ও শক্তির উপরই নির্ভর করে মূলত জ্যামার এর সঠিক আয়তন। নিম্ন শক্তির জ্যামার ৩০ ফুট দূরত্বের চারপাশে কাজ করে। উচ্চ শক্তির জ্যামার ১০০ ফুটের মধ্যে কাজ করে থাকে। আজকাল পকেট জ্যামারও পাওয়া যায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেসব জ্যামিং ডিভাইস ব্যবহার করে থাকেন তা দিয়ে ১.৬ কিলোমিটার পর্যন্ত সেলফোন সেবা বন্ধ করা সম্ভব। সেলফোন জ্যামার সম্পর্কে ‘ইনসাইড ইলেক্ট্রনিক্স’ এর ভাষায় বলতে গেলে- জ্যামার খুবই সাধারণ একটি ডিভাইস। শুধু অন/অফ সুইচ এবং এলইডি লাইট জ্বলাতে এর চালু থাকা বোঝা যায়। কিছু জটিল ডিভাইসে ভিন্ন ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সিতে জ্যামিং করার জন্য সুইচ রয়েছে। প্রতিটি জ্যামিং ডিভাইসে রয়েছে সিগনাল পাঠানোর জন্য অ্যান্টেনা। ছোট জ্যামিং ডিভাইস ব্যাটারিতে চলে। কিছু আবার সেলফোনের মতো দেখতে সেগুলো সেলফোনের ব্যাটারিতে চলে। রেড ডিভাইসে স্ট্যান্ডার্ড পাওয়ার আউটলেট রয়েছে যা গাড়ির ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেম থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পায়। প্রশ্ন হচ্ছে, জ্যামার কীভাবে বোঝে আমাদের ফোনের ফ্রিকোয়েন্সি কেমন? বিভিন্ন নেটওয়ার্ক যেমন টুজি, ত্রিজি, ফোরজি, ওয়াইফাই ইত্যাদিও জন্য জ্যামারের অ্যান্টেনাগুলো সেই অনুযায়ী ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড তৈরি করে। যাতে ব্যবহারকারী যেই নেটওয়ার্কের হোক না কেন জ্যামার ফোনের ফ্রিকোয়েন্সিকে কবজা করে ফেলে।

কোথায় ব্যবহৃত হয় মোবাইল ফোন জ্যামার?
সেলফোন জ্যামার প্রথমত আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চরম দাগী আসামী, জঙ্গি, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মিশনে ব্যবহারের জন্য উদ্ভাবন করা হয়। এতে মুক্ত অবস্থায় অপরাধী কোথায় ও কখন ফোন করছে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। বিপদজ্জনক স্থান যেখানে বিস্ফোরক থাকতে পারে এমন স্থানে রেডিও ট্রান্সমিশন বিপদ ডেকে আনতে পারে এমন সব স্থানেও জ্যামিং ব্যবহার করা হয়। এখন অত্যাধুনিক জ্যামিং ডিভাইস বেরিয়েছে। যেগুলো ৮ কিমি রেডিয়াসে সেলুলার সংযোগ বন্ধ করে দিতে সক্ষম। তবে মনে রাখা দরকার, জ্যামিং ডিভাইস ব্যবহার করে জ্যামিং করা হলে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা ঠিকই বুঝতে পারেন। ফোন শুধু প্রদর্শন করবে নো সার্ভিস বা নো সিগনাল। এর মানে হচ্ছে জ্যামার মোবাইল ফোনের নিকটবর্তী টাওয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

লেখক: বিজ্ঞান লেখক ও গবেষক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

কেএসকে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।