স্মার্টফোনের যে দুটি সিস্টেম হাতিয়ে নিচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৯ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২২

মোহাম্মদ রায়হান
স্মার্টফোন বর্তমানে ডাটা আদান প্রদানে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। সহজে বহন করা যায় বিধায় সব ধরনের কাজে স্মার্টফোনের ব্যবহার হচ্ছে। তবে ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এর মাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গোপন ডাটা ফাঁস ও হাতিয়ে নিচ্ছে সাইবার অপরাধীরা। ফলে ডাটা গোপনীয়তা হারাচ্ছে প্রায়শই।

নানা কারণে ফাঁস হতে পারে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডাটা। বিশেষ করে সাধারণ ব্যবহারকারীর বাইরে যারা স্মার্টফোনকে প্রফেশনাল কাজে ব্যবহার করেন তাদের তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকি বেশি। নানা প্রক্রিয়ায় তথ্য ফাঁস হতে পারে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি হচ্ছে ‘মেটাডেটা’ ও ‘পেগাসাস’।

মেটাডেটা
প্রায়শই শোনা যায় গুগল,ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণ করছে। এটি কিন্তু সত্যি। এসব বড় বড় সিস্টেমগুলো ব্যবহারকারীদের যে ডাটা সংরক্ষণ করে সহজভাবে বলতে গেলে তাই মেটাডেটা। অর্থাৎ মেটাডেটাও এক প্রকার ডাটা। ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ডাটার তথ্য দেবে মেটাডেটা।

ধরুন কোনো একটা গান কে লিখেছে, কে গেয়েছে, কখন পাবলিশ হয়েছে, কার সুর করা, কোন অ্যালবামের অংশ, গানের লিরিকে মোট কতটি লাইন আছে, গানটি কী সম্পর্কে লেখা, জনরা কী, এইসব তথ্য হচ্ছে গানটির মেটাডেটা।

মেটাডাটা ব্যবহারকারীর ফোন নম্বর, কোন সার্ভার ব্যবহার করছেন এবং কতক্ষণ ব্যবহার করছেন তার তথ্য, সোশ্যাল মিডিয়ার কোন প্লাটফর্মে কি তথ্য শেয়ার করছেন ইত্যাদি তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে দ্বিতীয় পক্ষ, কিংবা আপনার অবস্থান ও ট্র্যাক করতে পারে মেটাডেটার মাধ্যমে। তাই ভার্চুয়াল জগতে একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ারিং, মূল্যবান নথি আদান-প্রদান করা হতে পারে বিপদজনক।

পেগাসাস
পেগাসাস হচ্ছে একটি স্পাইওয়্যার প্রোগ্রাম। স্পাইওয়্যার হলো ঐ ধরনের ক্ষতিকর প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে আপনার ব্যবহৃত ডিভাইস হতে তথ্য বা ডেটা অন্যত্র স্থানান্তর হতে পারে। এমনকি আপনার ডিভাইসের কনফিগারেশন ও বদলে দিতে পারে। ২০১৬ সালে পেগাসাসের অস্তিত্ব গবেষকদের নজরে আসলেও ২০২১ সালের মাঝামাঝির দিকে পেগাসাস বাংলাদেশসহ বিশ্বে বহুল আলোচিত একটি ইস্যু হিসেবে দাঁড়ায়।

পেগাসাস ব্যবহারকারীর ফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ইনস্টল হয়ে যেতে পারে নিরবে। এতে ব্যবহারকারী টেরই পাবেন না কোনোভাবে। ইনস্টল হয়েই এটি ঐ ডিভাইসের একের পর এক তথ্য পাঁচার করতে থাকে অন্যত্র। কল হিস্ট্রি, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরা চালু, মাইক্রোফোন চালু, ডিভাইসের প্রতিটি এপ্লিকেশনের এক্সেস হাতিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে পুরো ডিভাইসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে পেগাসাস।

তবে সাধারণ হ্যাকিং সিস্টেমে স্পাম ম্যাসেজ কিংবা লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে ডিভাইস এর নিয়ন্ত্রণ অন্যত্র চলে গেলেও উপরোক্ত দুটি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হয় না। পেগাসাস থেকে মোবাইল ফোন বাঁচানোর উপায় নেই বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।