মিথ্যা আশ্বাস দেওয়ায় স্যামসাংকে জরিমানা
পণ্যের বিজ্ঞাপনে মুখরোচক তথ্য যুক্ত করেন সংস্থাগুলো। যেগুলোর মধ্যে মিথ্যাও থাকে কিছু। এবার সেই মিথ্যার জন্য জরিমানা গুনতে হলো কোরিয়ার মোবাইল ফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাংকে।
সংস্থাটি তাদের ফোনের কয়েকটি মডেলকে পানি নিরোধক হিসেবে দাবি করেছে। তবে এই দাবিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ ও মিথ্যা রায় দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত স্যামসাং অস্ট্রেলিয়াকে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার জরিমানা করেছে।
মূলত স্যামসাং তাদের ‘গ্যালাক্সি’ মডেলের কয়েকটি ফোনকে পানি নিরোধক হিসেবে দাবি করেছিল। ২০১৯ সালের জুলাইতে প্রথমবারের মত স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছিল দেশটির নিয়ন্ত্রক সংস্থা অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি)।
বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৩.১ মিলিয়নেরও বেশি গ্যালাক্সি ফোন রয়েছে। স্যামসাং ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবরের মধ্যে কিছু মোবাইল ফোনের দোকানে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি প্রচারণা চালায়, যেখানে দাবি করা হয় উল্লেখিত ফোনগুলোকে সুইমিং পুল বা সমুদ্রের পানিতেও ব্যবহার করা যায়।
তবে কিছুদিনের মধ্যেই এসিসিসির কাছে ভোক্তাদের অসংখ্য অভিযোগ আসতে থাকে। তারা দাবি করেন, এই স্মার্টফোনগুলো পানির সংস্পর্শে আসার পর থেকে ঠিক মতো কাজ কাজ করছে না এবং কোনো কোনোটি পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে।
কিন্তু স্যামসাং তাদের এই মডেলের ফোনগুলো পানি নিধোরক বলেই দাবি করেছিল। এমনকি ফোনগুলোর চার্জিং পোর্টও পানিতে কিছুই হবে না বলেও দাবি করেছিল।
এসিসিসির চেয়ার জিনা ক্যাস-গোতলিয়েব বলেন, স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি ফোনগুলোর জনপ্রিয়তার পেছনে অন্যতম মূল কারণ ছিল পানি নিধোরক হওয়া (দাবি করা হয়েছিল)। যেসব ভোক্তা গ্যালাক্সি ব্র্যান্ডের ফোন কিনেছেন, তাদের অনেকেই ফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা দেখে প্রভাবিত হয়েছেন বলেও মনে করছেন তিনি।
সূত্র: ৯নিউজ, ফাইন্যান্সিয়াল রিভিউ
কেএসকে/জেআইএম