ভুয়া খবর বন্ধ করতে যে পরিবর্তন আনছে ফেসবুক
দীর্ঘদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ার খবর নিয়ে একটা বিতর্ক চলছে। বিতর্কের মূল কারণ খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা। দিন দিন যেভাবে অনলাইন পোর্টালে খবর পড়ার অভ্যাস বাড়ছে মানুষের, তাতে এই সব খবর নির্দিষ্ট পরিমাণ পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হচ্ছে সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রত্যেকটি দেশেই সব সংবাদমাধ্যমের একটা নিজস্ব পেইজ থাকা যেন আবশ্যক হয়ে পড়েছে। তা না হলে এক দিকে যেমন পোর্টালের পেইজ ভিউ বাড়ে না, অন্যদিকে তেমনই পিছিয়ে পড়তে হয় জনপ্রিয়তায়।
কিন্তু এই নিজস্ব পেইজের সূত্র ধরেই যে সব চেয়ে বেশি পরিমাণে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়, তা অতীতের নানা ঘটনা প্রমাণ করে দিয়েছে। অনেক সময়ে জনপ্রিয় কোনো সংবাদমাধ্যমের নকল পেইজ তৈরি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রচেষ্টা চলে।
কখনও আবার পেইজটি নিজস্ব কোনো প্রতিষ্ঠানের হলেও তাদের দ্বারা পরিবেশন করা খবর যে সঠিক, তা বুঝে ওঠা যায় না। এই দুই বিভ্রান্তি দূর করার জন্যই এবার পদক্ষেপ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক। আপাতত পেইজ লেবেল নামের এক নতুন ফিচার টেস্ট করে দেখছে সংস্থা।
সম্প্রতি এই বিশেষ ফিচারটি কীভাবে কাজ করবে, এর জেরে নিউজ ফিডে কী কী পরিবর্তন আসবে, তা একটি ছবিসহ
টুইটারে পোস্ট করে বিশদে বোঝানোর চেষ্টা করেছে ফেসবুক নিউজ রুম। জানা গেছে যে এই বিশেষ ফিচারের অধীনে ফেসবুক পেইজগুলোয় এবার থেকে তিন ধরনের লেবেল বসবে।
সহজভাবে বললে, তাদের তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করে দেয়া হচ্ছে। এই তিনটি শ্রেণি হলো- পাবলিক অফিসিয়াল, ফ্যান পেজ আর স্যাটায়ার পেজ। যখন কোনো নিউজ ফিডে আসবে, তখন সেখানে যে জায়গায় পেইজের নাম উল্লেখ করা থাকে, তার ঠিক নিচেই থাকবে এই তিন লেবেলের যে কোনো একটি।
সংস্থা জানিয়েছে যে এই তিন লেবেলের মাধ্যমেই নিউজ ফিডে ভেসে আসা খবর বিশ্বাসযোগ্য কি না, সেই বিভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে। কেন না, সব রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে পরিচালিত হওয়া পেইজগুলোকে নিয়ে আসা হবে পাবলিক অফিসিয়াল লেবেলের অধীনে। ফলে, ফেসবুক নিজেই দায়িত্ব নিয়ে রাজনৈতিক সংস্থাগুলোর একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিচ্ছে, এর বাইরে থাকা পেইজের খবর ভুয়া বলে ধরতে হবে। তেমনই অন্য পেইজগুলোয় প্রয়োজন অনুসারে থাকবে ফ্যান পেজ আর স্যাটায়ার পেজ। এই লেবেল থেকে সেই সব পেইজের খবরের চরিত্রের বিষয়টিও স্পষ্ট হয়ে যাবে ইউজারের কাছে।
জানা গেছে, যে আপাতত এই ফিচারটি নিয়ে টেস্টিং চলছে আমেরিকাতে। তবে কবে এটি পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে সে সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি সংস্থার পক্ষ থেকে।
এমএমএফ/জেআইএম