টেলিকম কোম্পানির এসএমএস বাংলায় দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২৫ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

গ্রাহকদের কাছে টেলিকম কোম্পানিগুলোর এসএমএস বাংলায় দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, তারা গ্রাহকদের কাছে যে তথ্যই প্রকাশ করুক না কেন, সেই তথ্য বাংলা ভাষায় হবে এবং বাংলা হরফে হবে। মোবাইল ফোনের মধ্যেও বাংলা সফটওয়্যার থাকতে হবে।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই বিষয়ক’ জাগো নিউজের ফেসবুক লাইভে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জাগো নিউজের সহকারী সম্পাদক ড. হারুন রশীদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, মোবাইলের ফিচারগুলো বাংলায় থাকবে। বহু আগেই এ নির্দেশ দেয়া ছিল। তবে এ ব্যাপারে আমরা কঠোর।

তিনি আরও বলেন, অন্যান্য ক্ষেত্রে অনেকের ভুল ধারণা আছে যে বাংলায় হয়তো কাজ করা যায় না। বাংলা এখন এমন ভাষা, যা প্রযুক্তিতে ব্যবহার করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। এটা মোবাইল ফোন, ডেস্কটপ কিংবা ল্যাপটপ হোক আপনি বাংলা ভাষা প্রয়োগ করতে পারেন।

মন্ত্রী বলেন, এখন বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিকভাবে মাতৃভাষা দিবস পালন হয়। এটি আমাদের বিরাট অনুভূতি। আমরা রক্ত দিয়ে কেবল ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করেছি তা নয়, এর বিনিময়ে একটি রাষ্ট্র পেয়েছি।

স্বাধীন দেশে বাংলা ভাষা সম্পর্কে তিনি বলেন, এক সময় আমাদের সাহিত্য কলকাতাভিত্তিক ছিল। কিন্তু বাংলা ভাষা বাংলাদেশে বিকশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। আগে কেন্দ্রটা কলকাতা ছিল, এখন কেন্দ্রটা শিফট করে ঢাকা হয়েছে। বাংলাদেশে যে বইমেলা হয়, তা পৃথিবীর সেরা।

তিনি বলেন, বাংলাকে কেবল দাফতরিক ভাষা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। রাষ্ট্রভাষা বলতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ প্রতি ইঞ্চিতে বিরাজ করবে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য সেই জায়গায় এখনও আমরা পৌঁছতে পারিনি।

মোবাইল কোম্পানি থেকে ইংরেজিতে আসা এসএমএস’র উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এখন দোকানদারের কাছেও মেসেজটা যায় ইংরেজিতে। অথবা ইংরেজি হরফে বাংলায় যায়, যা আরও খারাপ। আমাদের উচ্চ আদালতে বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। উচ্চ শিক্ষায় আমরা বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। রাষ্ট্রের বড় বড় অংশে বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করা প্রয়োজন। এটা হচ্ছে না বলেই ‘আমি বলি রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’।

এইচএস/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।